ভারতের সাহায্য চাইছে তালিবান অধিকৃত কাবুল
এদিকে তালিবানের হাতে কাবুলের দখল চলে যাওয়ার পর থেকে সেখান থেকে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মী ও নাগরিকদের সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত হেঁটেছে সেই পথে। কিন্তু শুধু কূটনীতিক বা প্রবাসী ভারতীয় নয়, আফগান সরকারের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় আমলা, সরকারি কর্মী, রাজনীতিবিদেরাও এবার আশ্রয়ের খোঁজে ভারতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ভারতে পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের।
দেশ ছেড়েছেন আফগান প্রেসিডেন্টও
এদিকে আফগানিস্তানের বন্ধু দেশ হিসাবে বরাবরই সুপরিচিতি রয়েছে ভারতের। তাই আফগান সরকারের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে যে ভারত সরকার সাহায্যের হাত বাড়াবে তা আগেই অনুমানু করা গিয়েছিল। এই অস্থির সময়ে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক হিংসা ও অস্থিরতা থেকে বাঁচতে বর্তমানে আফগান নেতাদের অগত্যা ভরসা সেই ভারতই। তবে তাতে যে মোদী সরকারকে তালিবানদের রোষনলে পড়তে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারত। ইচিমধ্যেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে স্বয়ং আফগানি প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তাঁর অনুচরেরা ইতিমধ্যেই তাজাকিস্তানে পা রেখেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ভারতে পা রাখলেন কোন কোন আফগান নেতা-মন্ত্রি
অন্যদিকে অন্যান্য দেশও নিজেদের সীমানা খুলে দিয়েছে আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের জন্য। এদিকে শুক্রবার থেকেই ভারতে আসতে শুরু করেছেন একের পর এক তাবড় তাবড় আফগান নেতা সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তালিকায় রয়েছেন ওয়ারদাকের সংসদ সদস্য ওয়াহিদুল্লাহ কালিমজাই, পারওয়ানের সাংসদ এমপি আব্দুল আজিজ হাকিমি।এছাড়াও রয়েছে আরও একাধিক নেতা মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক লাভ ভারতের
অন্যদিকে আফগানিস্তান এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভীত শক্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এমনকী তালিবানদের জন্য পাকিস্তান সাহায্যের হাত বাড়াতেই তার ভিন্ন পথে কূটনৈতিক লাভ ওঠায় ভারতও। এদিকেকে ইতিমধ্যেই ভারতে পা রেখেছেন আফগানিস্তানের আর এক সাংসদ আব্দুল কাদির জাজাই, সিনেটর মালেম লালা গুল, প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের আত্মীয় জামিল কারজাইও। তালিকায় আছেন বাঘলানের সাংসদ শুকরিয়া এসাখাইল, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবদুল হাদি আরঘান্দিওয়াল, প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি ইউনুস কানুনীর ভাই মোহাম্মদ শরিফও।