প্রধানমন্ত্রীর কি ঘোষণা করেছিলেন
লালকেল্লা থেকে দেশে হাইড্রোজেন মিশন চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যথেষ্ট পরিমাণে এনার্জি বা শক্তি উৎপাদনে উৎসাহ দিতেই এহেন বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। ভারতের শক্তি উৎপাদনে স্বতন্ত্রতা কতটা প্রয়োজন তা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুধু তাই নয়, এই যোজনার মাধ্যমে ভারত গ্রিন হাইড্রোজেন প্রোডাকশন এবং রফতানির ক্ষেত্রে গ্লোবাল হাব হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াবে। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হাইড্রোজেন মিশনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সাফ বার্তায় মোদী বলেন, যেভাবে বিশ্বের আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে এই পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর দেশ। এই গ্রিন হাইড্রোজেনের হাত ধরে দেশ এক বড় শক্তিকে নিজের কাছে রাখতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তার মতে, পেট্রোল ডিজেলের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে গেলে ভারতকে এক দীর্ঘ লাফ দিতে হবে। হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমাবে।
জলে চলবে গাড়ি
হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরির ক্ষেত্রে ভারতে দুই ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। প্রকাশিত এক খবর মোতাবেক একটি পদ্ধতিতে জলক ইলেক্ট্রোলাইজ তার থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করে নেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি গুলি চালানো যেতে পারে। বিস্তারিত ভাবে বললে জলের সাহায্যে তৈরি হওয়া হাইড্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে গাড়ি চালানো সম্ভব।
তবে খেকাল রাখা প্রয়োজন যে সমস্ত গাড়ি হাইড্রোজেন ফ্লুয়ের মাধ্যমে চলতে পারে সেগুলিতে এটি ব্যবহার করা যাবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক গ্যাসকে হাইড্রোজেন এবং কার্বনে বিভক্ত করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের জলজাহাজ, বাইক, গাড়িও চালানো সম্ভব। এমনটাই বলছেন গবেষকরা।
আত্মনির্ভর তৈরি হবে ভারত
লালকেল্লার ভাষণ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শতবর্ষের অমৃত মুহূর্ত আসতে এখনও ২৫ বছর বাকি। কিন্তু আমরা ততদিন থেমে থাকব না। ১০০তম বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় একটা নতুন ভারত তৈরি হবে, তা বদলানোর কাজ এখন থেকে শুরু করব। সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ আর প্রত্যেকের চেষ্টায় আমরা লক্ষ্যে পৌঁছব।'
আর সেই কারণে গতিশক্তি-ন্যাশানাল মাস্টার প্ল্যান সহ একাধিক বড় ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এনার্জি শক্তির ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।