তালিবান বিজয়ে বিশ্বজোড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের দাবি তিনি ক্ষমতায় থাকলে আফগানিস্তানে এই শক্তিবৃদ্ধিতে সক্ষম হত না এই ইসলামী কট্টরপন্থী সংগঠন। ট্রাম্প এও মনে করেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার তিনি ভিন্নভাবে করতেন। আর তাতে সফলতা আসতেই। কিন্তু বর্তমানে আফগানিস্তান জুড়ে তালিবানদের লাগাতার বিজয় ও আফগান সেনার পাশাপাশি মার্কিন সেনার চূড়ান্ত পরাজয়ের জন্য বাইডেনকেই দুষেছেন তিনি। আর এই কারণেই বর্তমানে বাইডেনের পদত্যাগও দাবি করে ফেলেছেন তিনি। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
লজ্জায় পদত্যাগ করা উচিত বাইডেনের, দাবি বাইডেনের
বাইডেনকে তীব্র কটাক্ষ করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, , ‘আফগানিস্তানে যা হচ্ছে, যা হতে দিয়েছেন বাইডেন তার জন্য তার লজ্জায় পদত্যাগ করা উচিত।' অন্যদিকে ট্রাম্পের পাল্টা সমালোচনা করেছে জো বাইডেন প্রশাসনও। বাইডেন সরকারের দাবি, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে তালেবানিদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ট্রাম্পের আমলেই। সরকারি আধিকারিকদের দাবি সেকথা মনে হয় ভুলতে বসেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বা ট্রাম্প শিবিরের তরফ থেকে এই বিষয়ে অবশ্য কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
উদ্বেগ প্রকাশ মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীর
অন্যদিকে আফগানিস্তানের অবস্থা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তাঁর সাফ কথা, তাদের ধারণা থেকেও দ্রুত গতিতে গোটা আফগানিস্তানের দখল নিতে সক্ষম হয়েছে তালিবানেরা। এমনকী বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এখন স্বীকার করছেন যে তারা আফগান বাহিনীর সামর্থ্য আরও বেশি বলে অনুমান করেছিলেন। এই ভাবে আফগান সরকারের পতন ঘটবে তা তারা ভাবতে পারেননি।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকেরাও
এদিকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই শিবিরের তরফে পাল্টা তোপ দাগা বলেও সেনা প্রত্যাহার ঠিক কিভাবে হবে তার ভার বাইডেন প্রশাসনের উপর ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সকলে। বর্তমানে আফগানিস্তানের বাসিন্দারাও তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন বাইডেন প্রশাসনকে। এদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মার্কিন ন্যাটো বাহিনী সরিয়ে নেওয়াহবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন। এদিকে বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ডিং হচ্ছে #AfghanistanBurning।