ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারে নেমে অসমেও নজর
২০২১-এ বাংলায় তৃণমূলের আশাতীত সাফল্য এনে দেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন এবার ভিনরাজ্যে তাঁরা সংগঠন বিস্তার করতে চান। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোবেন। সেইমতো বাংলার নির্বাচনের পর যুব সভাপতি পদ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরার পর অসমেও সংগঠন গড়তে চেয়েছিল তৃণমূল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার তিনি প্রথমন টর্গেট করেন ত্রিপুরাকে। সেইমতো ত্রিপুরা অভিযান শুরু করে তৃণমূল। প্রথমে পিকের টিম আই প্যাকের সদস্যদের পাঠিয়ে জল মাপতে চায় তৃণমূল। তারপর নেতানেত্রীদের পাঠিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠনকে চাঙ্গা করাই ছিল উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে তাঁরা উত্তর-পূর্বের আরও এক রাজ্য অসমেও সংগঠন গড়তে চেয়েছিল।
অসমে তৃণমূল জোটসঙ্গীর খোঁজ করছিল, পেল খোদ নেত্রীকে
অসমে তৃণমূল কংগ্রেস ঘাঁটি গাড়তে একজন জোটসঙ্গীর খোঁজ করছিল। সেইমতো তারা অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযগও শুরু করে। অখিল গিরিও তৃণমূলের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তৃণমূলকে সঙ্গে জোট করে এগোতে অস্বীকার করে। তারপর থেকে অসমে প্রবেশের পথ খুঁজতে শুরু করছিল তৃণমূল। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা কংগ্রেস ছেড়ে অসমে তৃণমূলের বিস্তারের জন্য দুয়ার খুলে দেয়।
সুস্মিতার নেতৃত্বে অসমে বিস্তার লাভ করবে তৃণমূল
রাজনৈতিক মহলের খবর ছিল, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এমনকী অসমে তৃণমূল কংগ্রসের প্রধান নির্বাচিতও হতে পারেন তিনি। সেইমতই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তারপর নবান্নেও যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তাঁকে অসম তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে অসমে বিস্তার লাভ করবে তৃণমূল।
২০২৩-এর ভোটকে যখন পাখির চোখ করেছে তৃণমূল
অসমে তৃণমূল প্রধানের পদে বসার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায় দলের বিস্তারেও তিনি সহযোগিতা করবেন। কারণ ত্রিপুরায় দেড় বছর পরেই ভোট। ২০২৩-এর সেই ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেইমতোই কোমর বেঁধে নেমেছে ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার জন্য। বিজেপিকে সরিয়ে তৃণমূলকে ত্রিপুরার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা করাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিস্তারে বিজেপি প্রতিরোধ করাও শুরু করেছে, তাতে উত্তেজনার পারদ চড়েছে উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে।