কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ, ভারতীয়দের ফেরানো নিয়ে দুশ্চিন্তা
এদিন , কাবুল বিমানবন্দরে সকাল থেকেই মানুষের দেশ ছাড়ার হুড়োহুড়ি নজরে পড়ে। তালিবানের ভয়ে সেখানে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে জড়ো হন মানুষ। সেখানে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। এরপরই ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এদিকে, নয়া দিল্লি আজ জানিয়েছে, তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ হওয়ায় সমস্ত ভারতীয়দের নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে। তবে আফগানিস্তান থেকে যাঁরা ভারতে ফিরতে চান, তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
আফগান গুরুদ্বারে ২০০ শিখ
এদিকে তালিবান জানিয়ে দিয়েছে যে আফগানিস্তানে অবস্থিত শিখদের কোনও রকমের ধর্মীয় সংকট বা নিরাপত্তার অভাব হবেনা, তবে আপাতত ভয়ে কাঁটা সেদেশের নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন যে , আফগানিস্তানের গুরুদোয়ারায় ২০০ জন আটকে পড়া শিখকে যেন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে নিরাপদে ফিরে আনে। এদিকে, আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিবন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে অবস্থিত সেদেশের হিন্দু ও শিখদের সঙ্গে ক্রমাগত সম্পর্ক রেখে যাচ্ছেন তাঁরা।
অবস্থান স্পষ্ট করে দিল দিল্লি
কাবুল পতনের পর চিন জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে চিন। অন্যদিকে, খোলাখুলি তালিবানদের সমর্থন করে ইমরান খান জানিয়েছেন যে, আজ আফগানিস্তান কার্যত দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই অবস্থায় এদিন দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, ' আফগানিস্তানে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা আমাদের পার্টনার ছিলেন সেদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে। ভারত সেই আফগানদের পাশে দাঁড়াবে। ' পাশাপাশি তিনি জানান যে ভারত গোটা বিষয়টি নিয়ে কড়া নজর রাখছে।
২০০ জন ভারতীয়কে ঘিরে উদ্বেগ!
তালিবানর আতঙ্কে যখন আফগানিস্তান ছেড়ে আসার প্রবল তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেদেশের মানুষের মধ্যে তখনই জানা গিয়েছে কাবুলের দূতাবাসে এখনও ২০০ জন ভারতীয় সম্ভবত রয়ে গিয়েছেন। ঘটনার খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভির একটি সূত্র। এদিকে, জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে দিল্লির বিমানে এসে পৌঁছেছেন বহু আফগান গোয়েন্দারাও। তাঁদের দাবি তালিবানের হাতে পড়লে তাঁদের প্রাণ সংশয় শুরু হয়ে যেত।