বন্ধ তাজাকিস্তানের দরজা
সূত্রের খবর, তাজিকিস্তানে আশ্রয় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিমানের গতিপথ বদলাতে বাধ্য হন আশরফ। গন্তব্য এবার ওমান। তবে ওমান সরকার তাঁকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সোমবার ওমানেই থাকছেন তিনি। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আমেরিকারও নাগরিকত্ব রয়েছে আশরফের। অবস্থা বেগতিক বুঝলে ওমান থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যেও উড়ে যেতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওমানে আমেরিকান বায়ুসেনা ঘাঁটিতেও তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর।
ঠাঁই মিলল ওমানে
এদিকে পুরোপুরি ভাবে কাবুলে দখল নিয়েছে তালিবানরা। এমনকী শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তরও হয়ে গিয়েছে। তালিবান নাগপাশে জর্জরিত আফগানিস্তানে পড়ে গিয়েছে নির্বাচিত সরকার। আর তারপরেই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আশরফ গনি। প্রাণ বাঁচতেই ঘনিষ্ট সহযোগীদের নিয়ে বিমানে চেপে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেনয। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আশরফের দেশ ছাড়ার ভিডিও। সেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, তড়িঘড়ি বিমান উঠছেল আশরফ গনি। সঙ্গে রয়েছে তার সহযোগীরা।
আবেগতাড়িত পোস্ট আশরফের
এদিকে ইতিমধ্যেই আবার হেলিকপ্টারে চাপিয়ে আফগান কূটনৈতিকদের তাদের দেশে নিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। এদিকে দেশ ছাড়া নিয়ে বিচর্কের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি আবেগপূর্ণ চিঠি পোস্ট আশরাফ গনি। তাতেই তিনি লেখেন, "আজ আমার সামনে বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে। কিন্তু এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল। আমি গত কুড়ি বছর ধরে নিজের জীবন আফগানিদের জন্য নিয়োগ করেছি। এই মূহূর্তে হয়তো আমার তালিবানদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তালিবানরা হিংসার লড়াই জিতে গিয়েছে। তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার এই মূহূর্তে আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়াই ঠিক মনে হয়েছে।"
তাজাকিস্তানে রয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে সেনার প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা। ৩১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন হবে সেই প্রক্রিয়া। কিন্তু তার আগেই দখল হয়ে গেল গোটা দেশ। ওদ্কে ওমানে আশরফের সঙ্গে রয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ রয়েছেন তাজিকিস্তানে।