জনসেবায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
জানা গিয়েছে, সুস্মিতা দেব দলের সভানেত্রীকে দল ছাড়ার জন্য যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে তিনি কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। গত তিনদশক ধরে যে দলে তিনি যুক্ত ছিলেন, সেই দল ত্যাগের তিনি বলেছেন, জনসেবায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছেন তিনি। এদিন সুস্মিতা দেব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা তীব্র হয়েছে।
প্রসঙ্গত সুস্মিতা দেব মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রীও ছিলেন। তিনি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই বেরিয়ে গিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
টুইটার বায়োতে সবই 'প্রাক্তন'
টুইটার বায়োতে সুম্মিতা দেব তাঁর বাবা সন্তোষমোহন দেবের ছবি দিয়েছেন। যিনি অসম থেকে সাতবারের সাংসদ ছিলেন। সেখানে নিজেকে উল্লেখ করেছেন লোকসভার প্রাক্তন সদস্য, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সদস্য, ভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সদস্য। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুম্মিতা দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। যদি তিনি তৃণমূলে যএাগদান করেন, তাহলে তিনি অসমে তৃণমূলের মুখ হবেন।
ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল টুইটার অ্যাকাউন্ট
দিল্লিতে নয়বছরের শিশুর ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নিন্দা করতে গিয়ে টুইটারে সেই শিশুর বাবা-মায়ের ছবি দিয়েছিলেন। তারপরেই তিনি এবং আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতানেত্রীর টুইটার অ্যাকউন্ট লক করে দেওয়া হয়। শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার পরে সুস্মিতা দেব-সহ অনেক কংগ্রেস নেতানেত্রীই তাদের টুইটারের ছবি পরিবর্তন করেছিলেন। গত সপ্তাহে অ্যাকাউন্ট ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া পরে কংগ্রেসের তরফ মন্তব্য করা হয় সত্যমেব জয়তে।
দলের সিএএ লাইনের বিরোধী ছিলেন সুম্মিতা
দলের সিএএ লাইনের বিরোধিতা করে একটা সময়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। কেননা তিনি দাবি করেছিলেন বরাক উপত্যকার মানুষ সিএএ-র পক্ষে রয়েছেন। তিনি কংগ্রেসের নো সিএএ গামোসা পরতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওই জায়গার মানুষ দেশভাগের শিকার হয়েছেন। আর সিএএ বাংলাদেশি হিন্দুদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বেশ কিছু সংশোধন নিয়ে তিনি সিএএ-র সমর্থনের পক্ষে ছিলেন। বলেছিলেন সিএএ-তে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।