ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যপাল
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যে আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র থাকলেও আইনের শাসন যদি না থাকে তাহলে সেখানে সভ্য সমাজ গড়ে উঠতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন িতনি। একাধিকবার এই নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে দিল্লিতে গিয়ে নালিশও করেছেন তিনি।
রাজ্যপালের দিল্লি সফর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ভয়ঙ্কর আকার নিেয়ছে। অসংখ্য বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। তাঁদের রাজ্যে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে মমতা সরকাররে বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। এই নিয়েদিল্লিেত গিয়ে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন িতনি। রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল। দুই দফায় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে িরপোর্ট তলব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে রাজ্যপাল
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোচবিহারের শীতলকুচিতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। কোচবিহারের দিনহাটায় পৌঁছলে রাজ্যপালকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। দেখানো হয় কালো পতাকা। তাই নিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় দিনহাটার এসআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন রাজ্যেপাল। কোচবিহার থেকে ফিরে এসেই রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন
রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদ
প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। অনৈতিক ভাবে রাজ্যপাল সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এমনকী রাজ্য সরকারের পাঠানো একাধিক বিলের অনুমোদন িতনি দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছিলেন স্পিকার। রাজ্যপাল ধনখড় বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের দিনও রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিিন। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণে অভিযোগ তুলেছিলেন।