রানওয়েতে নেমেছে জনসমুদ্র, তালিবান কবলিত কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব

পতন হয়েছে নির্বাচিত সরকারের। ফের ২০ বছর পর তালিবানদের দখলে চলে গেল গোটা আফগানিস্তান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে খোদ প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। গতকাল রাতেই রাজধানী কাবুল দখলে এসে যাওয়ার পরেই প্রশস্ত হয়ে যায় তালিবানদের জয়ের রাস্তা। এদিকে তালিবান বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছড়তে বর্তমানে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে গোটা দেশেই। প্রতিটা বিমানবন্দরেই উপচে পড়ছে ভীড়। অন্যদিকে এরই মাঝে দরা পড়ল কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ ছবি।

রানওয়েতে জোড়ো হচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ

দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালানোর জন্য রবিবার বিকেল থেকেই হাজার হাজার আফগান বাসিন্দারা ভিড় করেছেন কাবুল বিমানবন্দরে৷ কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন তা অবশ্য কেউই জানেন না। কিন্তু সবার লক্ষ্যই এক, যে কোনও উপায়ে ছাড়তে হবে দেশ। সোশ্যাল মিডিয়া সহ একাধিক সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রাণ ভয়ে বিমানবন্দরের টারম্যাকে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। যা দেখে আঁতকে উঠছে গোটা বিশ্বই।

৭ জনের মৃত্যু

এদিকে এরই মাঝে সোমবার সকালে আচমকাই বিমানবন্দরে প্রবল গুলি বর্ষণ শুরু হয়। যার জেরে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত বহু সাধারণ নাগরিক। অসমর্থিত সূত্রের খবর, এই কাজ করেছে মার্কিন। এদিকে উত্তেজিত জনতাকে আয়ত্তে আনার জন্য প্রথমে শূন্যে গুলি ছুঁড়েছিল তারা। কিন্তু মার্কিন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এদিন এয়ারপোর্টে জড়ো হয়েছিলেন আফগানিস্তানের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতেই এই কাজ করা হয়। কিন্তু তারফলে এতবড় বিপত্তি ঘটে যাবে তা কেউ আঁচ করেনি।

কি বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

প্রত্যক্ষদর্শীদের বেশিরভাগই দাবি করছেন, বিমানবন্দরে প্রবল হই-হট্টগোলের মধ্যেই আচমকা চলে গুলি। আর তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। গুলির আওয়াজ পেয়েই সকলেই হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। জোর করে বিমানে উঠতে যান অনেকে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। অন্যদিকে রবিবার রাত থেকেই কাবুলের দখল নিতে শুরু করে তালিবানেরা। কাবুল বিমানবন্দরেও চলে ব্যাপক গোলাগুলি। তার জেরে বর্তমানে সসমস্ত বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাবুলে।

আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইছে না কোনো দেশই

এদিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর উড়বে না কোনও বিমান। ছাড় রয়েছে শুধু মাত্র সামরিক বিমানে। এদিকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিকের মতো বিমান সংস্থাও আগেই জানিয়েছে তারা আর কোনোভাবেই ব্যবহার করবে না আফগানিস্তানের আকাশপথ। এদিকে এই অবস্থায় ফাঁপড়ে পড়েছে ভারত। গতকালই শেষ একটি এয়ার ইন্ডিআর ফ্লাইটে সেখানে আটকে বড় নাগরিকদেক দেশে ফেরায় দিল্লি। কিন্তু আকাশ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাকি উদ্ধারকাজ কীভাবে চলবে সেই বিষয়ে চলছে আলোচনা।

More TALIBAN News  

Read more about:
English summary
sea of people descended onrunway, people are running Take a look at the horrific view of Kabul Airport