সংসদের কাজ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) প্রধান বিচারপতি (chief justice) এনভি রামানা (nv ramana)। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বর্তমানে সংসদে ভাল মানের কোনও বিতর্ক হয় না। সংসদের বর্তমান অবস্থাকে তিনি দুঃখজনক অবস্থা বলেও বর্ণনা করেছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, কোনও আইন প্রণয়নের সময় ভাল মানের কোনও বিতর্ক হয় না। যা জেরে আইন নিয়ে মামলা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাল মানের বিতর্কের অভাবে নতুন আইনের পিছনে যে উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু রয়েছে, তা সবার সামনে আসে না।
প্রধান বিচারপতি রামানা বলেছেন, আইনে অনেক স্পষ্টতাও থাকে। যার জেরে মামলা হয় এবং সাধারণ মানুষ যেমন অসুবিধার মধ্যে পড়েন, ঠিক তেমনেই আদালত এবং অন্যরা অসুবিধার মধ্যে পড়েন। তিনি বিষয়টিকে দুঃখ জনক বলেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনে অস্পষ্টতা থাকায় আদালত ও আইন প্রণয়নের পিছনের উদ্দেশ্যও সামনে আসে না।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেক আইনজীবী সংসদে গিয়েছেন। যার জেরেই হয়তো ভাল মানের বিতর্ক হয়েছে। তিনি আইনজীবী মহলের কাছে আবেদন করে আরও বলেছেন, তাঁরা যেন জনজীবনে নিজেদেরকে পরিবর্তন করেন এবং সংসদীয় বিতর্ক পরিবর্তন আনেন।
সাম্প্রতিক বর্ষাকালীন অধিবেশনে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বারেবারে মুলতুবি করে দিতে হয়েছে। কেননা বিরোধীরা পেগাসাস এবং কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে অনড় ছিল। অন্যদিকে সরকাও তাদের জায়গায় অনড়। ১৯ জুলাই থেকে লোকসভা বসলেও তা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
সাংসদ, বিচারপতি, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিরোধীনেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ দেশের প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পরেই বিরোধীরা সংসদে তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানায়।
সংসদের অচলাবস্থার পিছনে অবশ্য বিরোধীরা সরকারকেই দায়ী করেছে। কোনও আলোচনা ছাড়াই বিল পাশেরও অভিযোগ করেছেন তারা। তৃণমূল সাংসদ টুইট করে বলেছিলেন, সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম ১০ দিনে ঝড় তুলেছিলেন মোদী-অমিত শাহরা। প্রতি সাত মিনিটে ১২ টি বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আইনপাশের বিষয়টিতে পাপড়চাট তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন রাজ্যসভায় ২৮ জুলাই জুভেনাইল জাস্টিস বিল ৫ মিনিটে এবং ফ্যাক্টরিং রেগুলেশন বিল ৭ মিনিটে পাশ করানো হয়েছে। অন্যদিকে লোকসভা ফ্যাক্টরিং রেগুলেশন বিল পাশ করানো হয় মাত্র ১৩ মিনিটে।