৭৫ বছরে প্রথমবার নিজেদের রাজ্য সদর দফতরে জাতীয় পতাকা তোলার কথা ঘোষণা করেছিল সিপিএম৷ সেই মতো রবিবার সকালে আলিমুদ্দিনে জাতীয় পতাকা তোলেনও বিমান বোস, মহম্মদ সেলিমরা৷ কিন্তু বিপত্ত সেখানেও৷ প্রথমে নিজেদের সদর পার্টি অফিসে কিছুটা উল্টো পতাকা তুলল সিপিএম। দড়ির টানে পতাকা কিছুটা উঠে যাওয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকা নেতাদের খেয়াল হয় জাতীয় পতাকা উল্টো টাঙানো হচ্ছে৷ তারপরই পতাকা আবার নামিয়ে সঠিকভাবে তোলা হয়৷
একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের আলিমুদ্দিনে বিমানবাবুদের জাতীয় পতাকা তোলার দৃশ্যটি প্রকাশ করেছে৷ সেখানেই দেখা যায় মহম্মদ সেলিমের হাত থেকে জাতীয় পতাকায় লাগানো দড়িটি নিয়ে আস্তে আস্তে টানতে শুরু করেন বিমান বসু। জাতীয় পতাকাও একটু একটু করে উপরে উঠতে থাকে৷ এরকম কিছুটা ওঠার পর ওখানে থাকার কোন একজনের খেয়ান হয় উল্টো ভানে জাতীয় পতাকাটি টাঙানো হয়েছে৷ ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকার সবুজ রঙটি পতাকার উপরের দিকে রয়েছে৷ বিষয়টি চিৎকার করে জানায় সেই ব্যক্তি৷ তারপর পতাকা নামিয়ে আনেন সেলিম৷ এরপর সেটিকে ঠিক করে আবার উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়৷
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সিপিএমের সমালোচনায় মুখর হয়েছে নেটিজেনের বড় অংশ। আলিমুদ্দিনে সিপিএম নেতাদের এ হেন ভুল নিয়ে অনেকেই লিখছেন, আসলে অনভ্যাসের ফোঁটা তো তাই কপালে চড়চড় করছে৷ মন থেকে ভক্তি নেই ভোট বাঁচাতে এসব করতে গিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ ফেসবুকে কেউ কেউ আবার লিখেছেন, জানতাম এটাই হবে, যখন থেকে জানিয়েছিল পতাকা তুলবে তখনই জানতাম এটা হবে। দেশ ও দেশের জাতীয় পতাকাকে অপমান করার কোনও সুযোগ ছাড়ে না সিপিএম।
তবে এই প্রথম নয়, সিপিএমের যতই ভোট কমেছে ততই যেন সাধারণ মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে বামপন্থীরা৷ গত কয়েক বছর ধরেই পুকো মন্ডপে গিয়ে পুজো উদ্বোধনের কাজও করছেন সিপিএম নেতার৷ আগে যেগুলির কঠোর ভাবে বিরোধিতা করে এসেছে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বরা। ইদানিংয়ের শতরূপ ঘোষ থেকে সুজন চক্রবর্তীকে অনেক সময়ই পুজো মন্ডপ উদবোধনে আসেন। তবে এ নিয়ে বামপন্থীদের দাবি তাঁরা পূজায় নয় উৎসবে যোগদান করে।
কিন্তু সেটা তো এখন, আগে কী উৎসব ছিল না? এর উত্তর বামপন্থীদের অনেকেই দাবি করে থাকেন তাঁরা আগেও এভাবেই মানুষের যে কোনও উৎসবে যোগ দিয়েছে।