সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান
এদিন সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ৭৫০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। ভাষণে তিনি মানবাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সওয়াল করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস যে কোনও ক্ষেত্রে স্বাধীনতার মূল ভাবনা বিঘ্নিত করে । দেশকে পিছিয়ে দেয়। রাজ্যপাল বলেন, যেখানে মানবাধিকার নেই, সেখানে প্রকৃত স্বাধীনতা নেই। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না, সেখানে স্বাধীনতা সর্বাত্মক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে স্বাধীনতা অর্থহীন।
রাজ্যপালের যান গান্ধীঘাটেও
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানের পরে রাজ্যপাল যান ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে। সেখানেও তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতোই গান্ঘীঘাটের অনুষ্ঠানেও রাজ্যপালের পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়। গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কার্যত রাজ্য সরকারকেই নিশানা
গান্ধীঘাটে পতাকা উত্তোলনের পরে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন. গণতন্ত্র বিকাশে বাধা হল হিংসা। সেখানে তিনি মানবাধিকারকে সম্মান করারও আহ্বান জানান। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এদিন সরাসরি নাম না করলেও, হিংসা আর মানবাধিকার নিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছেন। তবে গত কয়েকদিনের মতো এদিন সরাসরি তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে কোনও কথা বলেননি।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যপাল সরব হয়েছিলেন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। রাজ্যের তরফে বারবার অভিষোগ খণ্ডন করে বলা হয়েছে, যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার সব ভোটের আগেকার কিংবা ভোট চলাকালীন সময়ের। রাজ্যপাল হিংসার অভিযোগ তুলে কখনও উত্তরে কোচবিহার কিংবা দক্ষিণে নন্দীগ্রামেও ছুটে গিয়েছেন। একের পর এক টুইট করে রাজ্যে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছিলেন। রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি রাজ্যপালের হাতে বেশ কিছু রিপোর্টও তুলে দিয়েছিলেন। তবে রাজ্যপাল সেইসব রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। রাজ্যের হিংসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানোর পাশাপাশি দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।