২৪০ দিন থেকে বেড়ে হতে পারে ৩০০ দিন
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিধিতে সরকারি কর্মীদের অর্জিট ছুটি বা আর্ন লিভের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই অর্জিত ছুটি ২৪০ দিন থেকে বেড়ে হতে পারে ৩০০ দিন। শ্রমনীতির বদল নিয়ে আলোচনা হয়চে। শ্রমমন্ত্রক ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হবে। সেই আলোচনাতেই ছুটির সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।
কস্ট টু কোম্পানি বা সিটিসি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা
শুধু ছুটির দিন নিয়েই নয়, বদল হতে পারে বেতন পরিকাঠামোয়। বদলে যেতে পারে বেতন কাঠামো। হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমতে পারে। ২০১৯ সালের বেতনবিধি অনুযায়ী কস্ট টু কোম্পানি বা সিটিসি কখনও কর্মীদের বেতনের ৫০ শতাংশ কম হতে পারে না। এখন অনেক সংস্থা মূল বেতন কমিয়ে অন্যান্য ভাতা বাড়িয়ে দেয়। নয়া বিধি চালু হলে সেই রাস্তা বন্ধ হবে।
সপ্তাহান্তিক ছুটির সংখ্যাও পরিবর্তিত হতে পারে
বেতন পরিকাঠামো বদল এবং অর্জিত ছুটির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সপ্তাহান্তিক ছুটির সংখ্যাও পরিবর্তিত হতে পারে। বাড়তে পারে দৈনিক কাজের সময়। নয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ ও সপ্তাহে তিনটি ছুটির কথা ভাবা হচ্ছে। তবে কেউ যদি সপ্তাহে আট ঘণ্টা দৈনিক কাজ করতে চায়, তবে সপ্তাহে একদিন ছুটি তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকবে। দৈনিক কাজের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পরিবর্তিত হবে বলে জানা গিয়েছে নয়া বেতন-বিধিতে।
অক্টোবরের মধ্যে খসড়া প্রস্তুত, তারপরই ঘোষণা
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিলে নয়া বিধি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে নানা আলোচনা ও মতপার্থক্যের কারণেই তা চালু করতে বিলম্ব হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে খসড়া প্রস্তুত হয়ে যাবে। সম্ভবত তখনই নয়া বেতনবিধির কথা ঘোষণা হবে।
সপ্তাহের কাজ কমে পাঁচদিন থেকে চারদিন হতে পারে
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এতদিন সপ্তাহে পাঁচদিন কর্মরত থাকতেন। সপ্তাহে দুদিন ছুটি থাকত তাদের। এবার সেই নিয়মে একটু রদবদল হতে পারে। দৈনিক কাজের উপর ভিত্তি করে সপ্তাহান্তিক ছুটি নির্ধারণ করা হবে। সপ্তাহে সাতদিনের মধ্যে তিনদিন পর্যন্ত ছুটি মিলতে পারে। তাহলে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে প্রতিদিন।