তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান
রবিবার বিভিন্ন জায়গায় মতো ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকেও ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করে তৃণমূল। পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। অনেক জায়গাতেই যান স্থানীয় বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাত। বাদ যায়নি লাউদহ এবং আঁধারি গ্রামও।
বিধায়কের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান
লাউদহ এবং আঁধারি গ্রামের প্রায় ৮০ টি পরিবার এদিন বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতর কাছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। বিধায়কও অনুরোধ মেনে নেন। পরে তাঁরা বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
স্বাধীনতা দিবসের দিন 'স্বাধীন'
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে পরিবারগুলি দাবি করেছে, তাঁরা বিজেপিতে পরাধীন ছিলেন। কোনও কাজ করতে দিচ্ছিল না গেরুয়া শিবিরের লোকজন। পরাধীনের মতো কোনও দলে থাকা সম্ভব নয় বলেই তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তাঁদের আরও অভিযোগ বিজেপির সঙ্গে এলাকার উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জঙ্গলমহলে ভাঙন
বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক দলে ভাঙন দেখেছে সাধারণ মানুষ। বিজেপিতে থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল সেই সময়েও। তবে বিধানসভা ভোটের জঙ্গলমহলে জমি হারায় বিজেপি। যে ফল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তারা করেছিল, তার থেকে ফল অনেক খারাপ হয় গেরুয়া শিবিরের। ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দেয় গেরুয়া শিবিরে। বেশ কিছু পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয় তাদের।
বিন কয়েক আগে ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয় বিজেপির। হাতছাড়া হয় সাঁকরাইলের রোহিনী গ্রাম পঞ্চায়েতও। বিজেপির আঁতুড় ঘরেই ভাঙনে সামনে না হলেও, পিছনে এই ভাঙনে নানা কারণ উঠে আসতে থাকে গেরুয়া শিবিরের সামনে।
যদিও এই ভাঙন নিয়ে বিজেপির দাবি ভয় দেখিচেয় দলভাঙানো হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি উন্নয়নে সামিল হতেই দলবদল। তৃণমূলের দাবি উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁরা এসেছিলেন, তারা তা করতে পারছিলেন না বিজেপিতে থেকে। পাশাপাশি দলবদলের পিছনে স্থানীয় নেতৃত্বের অন্তর্কলহের কথাও তারা বলেছেন। যদিও বিজেপির তরফে অন্তর্কলহের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।