ফের বিতর্কে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, উত্তোলনের পরে জাতীয় পতাকায় জুতো

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে (Siddiqullah Chowdhury)। ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন উপদেশ দিয়েছেন, অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিশানা করতে দেখা দিয়েছে। এবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকায় জুতো লাগিয়ে আরও এক বিতর্ক তৈরি করলেন মন্ত্রী। যদিও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্বে রাজি নন মন্ত্রী।

দক্ষতার সঙ্গে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের কাজ করার দরকার

বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে উপদেশ দিতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছিলেন সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে তিনি অনেক কাজ করেছেন, কিন্তু আরও দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজ করার দরকার। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হলেও জমিয়তের কর্মী বলতেই ভালবাসেন নিজেকে। তাই সংখ্যালঘুদের স্বার্থ বিসর্জন তিনি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। জমিয়তের তরফেও তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছিল কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তির সহ্গে তিনি যেন যোগাযোগ না করেন। এই কথা উছে এসেছিল রাজ্যে সেই সময় তৃতীয় শক্তি হিসেবে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-কে সঙ্গে করে সংযুক্ত মোর্চা গঠন প্রসঙ্গে। সিপিএমকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, যারা একটা সময় তাঁকে 'মোল্লা' বলে গালি দিত, তারাই মোল্লাদের স,ঙ্গে হাত মিলিয়েছে।

অনুব্রতকে নিশানা করেছিলেন

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিশানা করেছিলেন। মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদার্থ বলা নিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেছিলেন, তিনি শিক্ষিত মানুষকে অপমান করছেন। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে সংখ্যালঘুরাই ভোটের ফল নির্ধারণ করবে। আর হয়েছিলও তাই। মঙ্গলকোট থেকে তিনি আর যে দাঁড়াতে চান না, তাও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেছিলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে কাজ করতে পারবেন না। এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিনিধিরা তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পরে তাঁকে মন্তেশ্বর থেকে প্রার্থী করা হলে, সেখান থেকেই জয়লাভ করেন।

মন্তেশ্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

এদিন নিজের কেন্দ্র মন্তেশ্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বন্দেমাতরম স্লোগান দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। স্লোগান ওঠে স্বাধীনতার অমর শহিদ অমর রহে। শহিদ স্মরণে আপন মরণে রক্ত ঋণ শোধ করো। সম্পন্ন হয় পতাকা উত্তোলনে অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠান শেষে বিপত্তি

অনুষ্ঠান শেষ করে বেরোতে গিয়েই যত বিপত্তি। পায়ের পাশেই মাটিতে পোঁতা ছিল জাতীয় পতাকা। সেই পতাকাই মন্ত্রীর পায়ে লাগে। যদিও মন্ত্রী বলেছেন, তিনি এব্যাপারে কিছুই জানেন না।
ভারতীয় আইনে জাতীয় পতাকা প্রসঙ্গে অনেক কথা বলা রয়েছে। পতাকা নিয়ে কী কী করা যাবে না তারও নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। কিন্তু জুতো পরে পতাকা উত্তোলন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট কথা বলা নেই। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি হোন কিংবা প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাজ্যপাল কাউকেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।
তবে বলা আছে পতাকা মাটিতে রাখা যাবে না। ঘর সাজানোতেও জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More CONTROVERSY News  

Read more about:
English summary
Siddiqullah Chowdhury' shoe touches national flag after flag hoisting in Monteswar but he don't know this.