চিনে দেখা মিলল বিরল ডাইনোসরের প্রজাতির
চিনের তুরপান-হামি অববাহিকায় ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন বছরের পুরনো দুই বিরল প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে বিরল প্রজাতির ডাইনোসরগুলির জীবাশ্ম। এর আগে এমন এক প্রজাতির ডাইনোসরের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি বিশ্বের কোথাও। দুটি ভিন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান মিলতেই চিনের বৈজ্ঞানিক মহলে পড়েছে সাড়া। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়ান্সেস আর মিউজিয়াম অফ ব্রাজিল এই নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে।
কী নাম নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের?
ডাইনোসরের যে প্রজাতিগুলিকে পাওয়া গিয়েছে চিনে, তাদের নাম সিলুটাইটান সিনেনসিস বা 'সিলু' আরও একটি প্রজাতির নাম হ্যামিটিটান জিনজিয়াংজেসিস বা ছোট্ট নাম 'হামি'। এই দুই নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের খোঁজ বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছে চিন। কয়েক মাস আগেই চিনে নয়া ভাইরাস হিসাবে উঠে এসেছিল করোনার নাম। এরপর তা বিশ্বে কার্যত ত্রাস হয়ে যায়। এদিকে সেই ঘটনার পর এবার নতুন করে ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান মিলতেই রীতিমত কৌতূহল তৈরি হয়েছে এশিয়ার বৈজ্ঞানিক মহলে।
কেন এমন নামকরণ দুই প্রজাতির?
সিলুটাইটান সিনেনসিস বা 'সিলু' এবং হ্যামিটাইটান জিনজিয়াংজেসিস বা ছোট্ট নাম 'হামি' এই দুই নামের যে নয়া ডাইনোসরের প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে, তাঁদের নামকরণের নেপথ্যে কোন ঘটনা রয়েছে তা নিয়ে একাধিক কাহিনি উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে সিলু মানে সিল্ক রুট। এই পথে পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমের যোগ হয়েছে। আর সেই কথাকে স্মরণ করেই এমন নাম। আবার হামি নামটি এসেছে বিখ্যাত হামি শহর থেকে। যে শহরে এই প্রজাতিগুলির জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে।
৫৫ ফুট লম্বা ডাইনোসরের সন্ধান!
হ্যামিটিটান জিনজিয়াংজেসিস বা ছোট্ট নাম 'হামি' ৫৫ ফুট লম্বা ডাইনোসর হিসাবে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকায় যে সউরোপডসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে এই হ্যামিটিটান জিনজিয়াংজেসিস বা ছোট্ট নাম 'হামি' এর প্রজাতির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই নয়া প্রজাতির ডাইনোসরের সঙ্গে টাইটানোসরাস গোষ্ঠীর ডাইসরের মিল রয়েছে।
শাকাশী ডাইনসোররের সন্ধান?
জানা গিয়েছে নতুন প্রজাতির যে নয়া ডাইনোসরের সন্ধান তাদের ক এ জনের চেহারা ব্লু হোয়েলের মতো। তবে সিলুটাইটান মূলত শাকাশী বলে জানা যাচ্ছে। এদের গলা অত্যন্ত লম্বা। লম্বা লেজ ছিল এককালে বলে জানা যায়। দেহাকারও বড়। তবে সেই তুলনায় এদের মাথার আকার ছোট। এরা সৌরপডস থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।