কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তালিবানরা
একে একে শহর দখল করে কাবুলের িদকে এগোচ্ছে তালিবানরা। কাবুল দখলের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে তারা। কাবুল দখল করতে পারলেই কেল্লা ফতে। গোটা আফগানিস্তান তাঁদের দখলে চলে আসবে। আগেই গজনী, কান্দাহার, হেরাট, লস্করগাহ দখল করে ফেলেছে তালিবানরা। গজনীতে সব সরকারি দফতর এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার দখল করে নিয়েছে তারা। কান্দাহার আফগানিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বড় শহর। সেটাও দখল করে ফেলেছে তালিবানরা। তারপরেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে আফগান সরকার। একই সঙ্গে হেরাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও তাঁদের দখলে চলে গিয়েছে। সেখানকার বিমানকর্মীরা তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আরও এক শহর দখল করেছে তালিবানরা। এবার কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তারা। কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তালিবানরা।
আশরফ গনির পদত্যাগের জল্পনা
এদিকে কাবুলে যে গতিতে তালিবানরা এগোচ্ছে তাতে আশরফ গনির পদত্যাগের জল্পনা শুরু হয়েছে। আশরফ গনি গতকালই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল পদত্যাগের পর তিনি সপরিবারে বাইরের দেশে চলে যাবেন অর্থাৎ দেশ ছেড়ে চলে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। গত কয়েক দিন ধরেই আশরফ গনি তালিবানদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি তালিবানরা। উল্টে আরও বেশি তৎপরতার সঙ্গে তারা এগোতে শুরু করে।
আশরফের হুঙ্কার
আশরফের পদত্যাগের জল্পনার মাঝেও আবার উল্টোসুর শোনা গেল। আশরফ গনি আবার সেনার শক্তি বাড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে আমেরিকা থেকে কাবুল রক্ষায় ৩০০০ সেনা আসছে কাবুলে। আফগান সেনার শক্তিবাড়িয়ে তালিবানদের রোখার বার্তা দিয়েছেন। আফগানিস্তানে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আসনে তিনি সবরকম চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। বাইরের দেশের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তালিবানরা কাবুল দখলের পরেই গনি এই বার্তা িদয়েছিলেন। তাতে তালিবানদের কাছে মাথা নত না করার বার্তা ছিল তাঁর।
তালিবানদের বার্তা
একের পর এক শহর দখল করে এগোচ্ছে তালিবানরা এই নিয়ে আফগানিস্তানে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তালিবানরা ভারতকেও এই নিয়ে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে ভারতীয়দের কোনও ক্ষতি তারা করবে না। দূতাবাসের কর্মীদের উপর কোনও রকম ক্ষতি হতে তারা দেবে না বলে জানিয়েছে তালিবানদের মুখপাত্র। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একাধিক দেশ তাঁদের দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, স্পেনের একাধিক দেশ তাঁদের দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফেরাতে শুরু করেছে।