মুকুল রায়ের বারংবার একই ‘ভুলে' জল্পনা
মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন ২ মে। তার এক মাস ১০ দিন পরেই তিনি ঘটা করে নাম লেখান তৃণমূলে। ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে তিনি মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও। এরপর তৃণমূলের পক্ষেই হাওয়া উঠেছিল। কিন্তু মুকুল রায়ের বারংবার একই ‘ভুলে' জল্পনা বেড়েই চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
মুকুলের বিজেপি-প্রীতি তৃণমূলে যোগদানের পরও
একবার নয়, দু-দুবার তিনি একই ভুল করে বসেছেন। তিনি তৃণমূলের মঞ্চ থেকে বিজেপির হয়ে সওয়াল করে বসেছেন। বিজেপির পক্ষে কথা বলছেন। বেমালুম দু-চার কথা বলার পরে তাঁর স্মরণ হচ্ছে তিনি বিজেপির নন, তৃণমূলের নেতা। তাতেই জল্পনার জটাজাল তৈরি হচ্ছে। মুকুলের মুখে কেন বারবার বিজেপির সওয়াল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে।
মুকুল রায়ের মনে বিজেপিই, জল্পনা বপাড়ালেন দিলীপ
রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা, মুকুল রায়ের মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের মুখে কেন বারবার একই ভুল উচ্চারিত হচ্ছে। কেন তিনি তৃণমূলে নাম লিখিয়েও বারবার সওয়াল করছেন বিজেপির হয়েছে। এই জল্পনার আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুকুল রায়ের মনে বিজেপিই।
মুকুলের মন্তব্যকে হতিয়ার করে দিলীপ ঘোষ আসরে
সম্প্রতি মুকুল রায় তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করেছেন। কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তনের দু-মাস যেতে না যেতেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে তিনি জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর সেই বিতর্কিত মন্তব্যকে হতিয়ার করেই দিলীপ ঘোষ আসরে নেমেছেন। তিনি বলেছেন, মুকুল রায় কোনও ভুল কথা বলেননি। তিনি মনের কথাই বলেছেন। তিনি বাধ্য হয়েই তৃণমূলে গিয়েছেন। আমরা খুব ভালো করেই বুঝি বাধ্যবাধকতা।
দিলীপ ঘোষ পরবর্তী কর্মসূচি- শহিদ স্মরণ যাত্রা
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে রণকৌশল সাজাতেই বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য সদর দফতরে। সেই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের বিধায়করা। সেখানেই স্থির হয়, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি ৫৫ জন নেতা-কর্মী শহি হয়েছেন। তাঁদের স্মরণে রাজ্যজুড়ে শহিদ স্মরণ যাত্রা করবে বিজেপি। চার কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে সামনে রেখে বিজেপি এই কর্মসূচি পালন করবে।