— President of India (@rashtrapatibhvn) August 14, 2021 |
চা-চক্রে মিলিত হলেন রাষ্ট্রপতি
কথা মতোই শনিবার সন্ধ্যায় টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে নিজ ভবনে চা-চক্রে মিলিত হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যেখানে জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া, ভারোত্তোলন ও কুস্তিতে রুপোজয়ী মীরাবাঈ চানু ও রবিকুমার দাহিয়া, ব্রোঞ্জজয়ী পিভি সিন্ধু, লাভলিনা বরগোহাঁই, বজরং পুনিয়া হাজির ছিলেন। ৪১ বছর পর অলিম্পিকের হকিতে পদক (ব্রোঞ্জ) অর্জন করা দেশের পুরুষ হকি দলের সদস্যরাও এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওই চা চক্রে অংশ নিয়েছিলেন ভারতীয় মহিলা হকি দলের সদস্য সহ অন্যান্য অ্যাথলিটরা। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে আলাপ করেন রাষ্ট্রপতি। কথা বলেন দেশের পুরুষ হকি দলের কোচ এবং শাটলার সিন্ধুর প্রশিক্ষকের সঙ্গেও। দেশের অ্যাথলিটদের আরও অনুপ্রাণিত করতে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভাষণও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
|
মেয়েদের কুর্নিশ
নিজ ভবনে টোকিও অলিম্পিক থেকে ফেরা ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বলেন যে টোকিওয় ভারতকে উজ্জ্বল করা অ্যাথলিটদের জন্য গোটা দেশ গর্বিত। অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্স থেকে দেশকে প্রথমবার সোনা এনে দেওয়া নীরজ চোপড়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। কুর্নিশ জানান সেসব মহিলা অ্যাথলিটদের, যাঁরা সব বাধা পেরিয়ে টোকিও গেমসে দেশকে গর্বিত করেছেন। অতিমারী পরিস্থিতিতে নীরজ, সিন্ধু, বজরংদের পারফরম্যান্স দেশের আশার আলো জ্বালিয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, জেতা-হারা খেলার অঙ্গ। টোকিও গেমসে দেশের হয়ে পদকজয়ীদের স্থিতধী-বিনয় এবং পদক হাতছাড়া হওয়া অ্যাথলিটদের ইতিবাচক মনোভাব তাঁকে মুগ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
অ্যাথলিটদের সঙ্গে ছবি তুললেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আমন্ত্রণে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া দেশের অ্যাথলিটদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নীরজ চোপড়াদের সঙ্গে পরিচিত হন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও। সবশেষে টোকিও গেমসে পদকজয়ী ও অন্যান্য অ্যাথলিটদের সঙ্গে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপতি। যেখানে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রধান নরিন্দর বাত্রা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। টোকিও গেমস থেকে ফেরা দেশের সব অ্যাথলিটদের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোজী। সেদিন প্রত্যেক অ্যাথলিটদের সঙ্গে তিনি আলাদাভাবে কথা বলবেন।
পদক সংখ্যায় ভারতের ইতিহাস
টোকিও গেমস শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক ছিল পারফরম্যান্সের নিরিখে ভারতের সেরা। ওই গেমস থেকে দুটি রুপো ও চারটি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৬টি পদক জিতেছিল দেশ। শুরুটা করেছিলেন মীরাবাঈ চানু। পিভি সিন্ধু, লাভলিনা বরগোহাঁই, রবিকুমার দাহিয়ারা পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। পদক জয়ের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ভারতীয় হকি দলও। দেশের অলিম্পিক অভিযানের শেষ দিনে বজরং পুনিয়ার ব্রোঞ্জের পর নীরজ চোপড়ার সোনার হাত ধরে পদক জয়ের নিরিখে টোকিও গেমসে নতুন রেকর্ড গড়ল টিম ইন্ডিয়া। একটি সোনা, দুটি রুপো এবং চারটি ব্রোঞ্জ সহ চলতি অলিম্পিকে ভারতের সর্বমোট পদক সংখ্যা সাতে পৌঁছে গিয়েছে। খুব কাছে পৌঁছে ভারতীয় মহিলা হকি দল, গল্ফার অদিতি অশোক ও কুস্তিগীর দীপক পুনিয়ার পদক হাতছাড়া না হলে সংখ্যাটা দশে পৌঁছে যেতে পারত।