তারকাদের নিয়েই
আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে করোনা বিভিন্ন দলে থাবা বসানোয় মে মাসের গোড়াতেই থমকে গিয়েছিল আইপিএল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তা আবার শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ এবং টি ২০ বিশ্বকাপের পর ঠাসা ক্রীড়াসূচি থাকায় চিন্তা ছিল বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাদের নিয়ে। নিউজিল্য়ান্ড আগেই জানিয়ে দেয়, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পাশাপাশি আইপিএল দলে থাকা ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলে টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন। সৌরভরা কথা চালাচ্ছিলেন ইসিবি-র সঙ্গেও। তাতেও বরফ গলতে থাকে, বাকিটা পূর্ণতা পায় মহারাজরা ইংল্যান্ডে যেতেই। খানিকটা ঠেলায় পড়ে ক্রিকেটারদের আইপিএল পাঠাতে আপত্তি জানায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। রিকি পন্টিংও পরামর্শ দেন আইপিএলই হবে টি ২০ বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার প্রস্তুতির জন্য সেরা মঞ্চ। ইসিবি-র এই সিদ্ধান্তের ফলে নিউজিল্যান্ডের মতো ইংল্যান্ডও পাকিস্তান সফরে দ্বিতীয় সারির দলই পাঠাবে।
সম্মতি অনেকেরই
ইতিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের তরফে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে। তাঁদের টি ২০ বিশ্বকাপের আগে দেশের হয়েও খেলতে হবে না। তবে কোনও ক্রিকেটার আইপিএল খেলবেন, নাকি দীর্ঘ জৈব সুরক্ষা বলয় এড়াতে আইপিএল থেকে সরে থাকবেন সেটা ওই ক্রিকেটারেরই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও কাশী বিশ্বনাথন যেমন জানিয়ে দিয়েছেন, জেসন বেহরেনডর্ফ, স্যাম কারান, মঈন আলি আইপিএল খেলতে আসছেন। পাঞ্জাব কিংসও ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার রাইলে মেয়ারডিথ, মোজেস হেনরিকেস ও ঝাই রিচার্ডসনের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ও ক্রিস জর্ডনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন তিনি সানরাইজার্সের হয়ে খেলতে আসবেন, স্টিভ স্মিথ ও মার্কাস স্টইনিস দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে জানিয়ে দিয়েছেন আইপিএল খেলতে আসার ব্যপারে। সবমিলিয়ে আইপিএলে বিভিন্ন দলে ইংল্যান্ডের ১৪ জন ও অস্ট্রেলিয়ার ২০ জন রয়েছেন।
বাছতে হবে একজনকেই
২০ অগাস্টের মধ্যে পরিবর্ত ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে বিভিন্ন দলকে নির্দেশ দিয়েছেন আইপিএলের সিওও হেমাঙ্গ আমিন। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, শ্রেয়স আইয়ার ও টি নটরাজনও আইপিএলে খেলার জন্য তৈরি। যে ক্রিকেটাররা চোট বা অন্য কোনও কারণে আইপিএলের প্রথম অর্ধের ম্য়াচগুলি খেলতে পারেননি তাঁরা যদি ফিট থাকেন তাহলে যাঁরা পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজনকেই বেছে নিতে পারবে দলগুলি। যদি মূল ক্রিকেটারকে দলে রাখতে চায় কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাহলে পরিবর্ত ক্রিকেটার আইপিএলে ক্রিকেটারদের রেজিস্টার্ড পুলে থাকবেন। আর যদি মূল ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে চায় কোনও দল তাহলে তিনি আর ওই পুলে ঠাঁই পাবেন না।
দিল্লির অধিনায়ক কে?
শ্রেয়স আইয়ার ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। আপাতত তিনি একাই অনুশীলন চালাচ্ছেন। দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে নেবে বলে আগেই জানিয়েছে। কিন্তু কে নেতৃত্ব দেবেন সেটা পরিষ্কার নয়। আইয়ারের নেতৃত্বে দিল্লি গত বছর আইপিএল ফাইনাল খেলেছিল। এবার আবার পন্থের নেতৃত্বে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তবে বোর্ডের নিয়মে অনিরুদ্ধ যোশীকে চলে যেতে হবে রেজিস্টার্ড পুলে। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ, জোশ ফিলিপ, জস হ্যাজলউডরা সরে দাঁড়িয়েছিলেন এবারের আইপিএল শুরুর আগেই। তবে হ্যাজলউডকে যে আর দরকার নেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে সিএসকে কর্তার কথাতেই। সবমিলিয়ে কে থাকবেন, কে থাকবেন না গোটা চিত্র পরিষ্কার হবে কয়েক দিনের মধ্যেই।