বিজেপির গেমপ্ল্যান
উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ সভাপতি বিজয় বাহাদুর পাঠক বলেন, 'একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে কাজ করতে চাই আমরা৷ তাই বিস্তারকদের এতটা গুরুদায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্তারক পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করা চলছে৷ যাঁদের নিয়োগ করা হবে, তাঁরা দলের ফুল টাইমার হিসেবে কাজ করবেন। এঁদের কাজ হবে রাজ্যের প্রতিটি কোনায় মানুষদের সঙ্গে কথা বলা, বিজেপির আদর্শ প্রচার করা।'
কারা বিস্তারক পদ পান?
সাধারণত দলের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিস্তারক পদে নিয়োগ করে বিজেপি৷ মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে বেছে বেছে প্রচারক তথা বিস্তারক পদে নিয়োগ করা হয়। বিস্তারকদের কাজ প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রার্থীদের প্রচারকাজ সম্পন্ন করা, সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে প্রার্থীকে সচেতন করা। এক কথায় বলতে গেলে, ভোটের ময়দানে প্রার্থীর হয়ে অনেকটাই হোমওয়ার্ক করে দেন এই প্রচারকরা। তবে, কেউ এই পদ পেলে তাঁকে দলের ফুল টাইমার হতেই হয়৷ সেক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে আর কোনও জবাবদিহি করতে হয় না এই প্রচারকদের। সটান রাজ্যস্তরে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন৷
চাণক্য শাহের দাবার চাল!
২০১৭ সালে নির্বাচনের জন্য বিস্তারকদের এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির তৎকালীন জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ। নির্বাচনের সময় এই সহায়ক তথা বিস্তারক দিয়েই উত্তরপ্রদেশ পকেটে পোরার রাস্তাটা সহজ করেছিল বিজেপি৷ এবার ক্ষমতা ধরে রাখতে সেই একই স্ট্র্যাটেজিতে হাঁটতে চাইছে তারা।
তরুণদের সামনের সারিতে?
তবে এমনটা নয় যে, চয়ন করার পরই ভোটের ময়দানে কাজ করতে নামিয়ে দেওয়া হবে বিস্তারকদের। একেবারে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিস্তারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের আয়োজন করেছে তারা৷ যেখানে তাঁদের কর্মপদ্ধতির সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর এই ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের কর্মকর্তাদের দিকেই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে বিজেপি৷ যদিও দক্ষ ও বয়ষ্ক সংগঠকদের যথাযোগ্য দায়িত্ব ও সম্মান দিয়েই দলের কাজ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর৷