ফের মোদীকে নিশানা ডেরেকের
লোকসভা অধিবেশন শেষ হলেও কিছুতেই বিরোধীরা মোদীর পিছু ছাড়ছেন না। একের পর এক আক্রমণ চলেইছে। গতাকালের পর আজ ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইটি নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। েডরেক টুইটে ফ্রাইডে দ্য থারটিনের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তারপরেই মোদীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন ইওর টাইম স্টার্ট নাও। অর্থাৎ আজ শুক্রবার। তাতে আবার ১৩ তারিখ। অশুভ-র যুগলবন্দি যাকে বলে। এই নিয়ে হলিউডে একটি ফিল্ম আছে সেই ফিল্মের ভিডিও শেয়ার করেছেন ডেরেক। এবং তাতে মোদীকে উদ্দেশ্য করে সেই ডায়লকটি লিখেছেন আপনার সময় শুরু হল এখন থেকে। অর্থাৎ গতকালের প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়ার সময় দিয়ে দিয়েছেন ডেরেক।
মোদীকে প্রশ্ন
বিরোধীদের হট্টগোলের কারণে নাকি বাদল অধিবেশন আগেই সমাপ্তি ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এমনই দাবি করেছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই অভিযোগে পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। ডেরেক গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ৮টি প্রশ্ন করেছিলেন। টুইটে সেই প্রশ্ন বিস্তারে লিখে দিয়েছিলেন তিনি। সাত প্রশ্নের প্রধান প্রশ্ন ছিল কেন প্রধানমন্ত্রী সংসদে এসে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিলেন না। যেখানে প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং এইচডি দেবেগৌড়া পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। মনমোহন সিংও সংসদ অধিবেশন পছন্দ করতেন না কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেেত। সেখানে মোদী কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি ছিল, বিরোধীদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে একের পর এক বিল পাস করিয়েছে মোদী সরকার। তাইনিয়ে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। ১০ মিনিেট আলোচনার জন্য সময় দিয়েই বিলটি দুই কক্ষেপাস করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ডেরেক।
পাপড়ি চাট বিতর্ক
সংসদ অধিবেশনে মোদী সরকারের হুড়োহুড়ি করে বিল পাস করানোকে পাপড়ি চাটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি বলেছিলেন বিল পাস হচ্ছে না তো পটাপট পাপড়ি চাট পড়ছে যেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডেরেকের এই মন্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরের দিনই তৃণমূল ভবনে পাপড়ি চাট পার্টি করেন ডেরেক। তাতে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। এই নিয়ে ডেরেকরে নিশানা করেন রাজ্য সভার সাংসদ মুক্তার আব্বাস নকভি। তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে ফিস কারি খান। এমনিেতই সংসদকে মাছের বাজারে পরিণত করেছেন বিরোধীরা। এমনই কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তারপরেও দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে সংসদ অধিবেশন বয়কট করেছে। বারবার মুলতুবি করা হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। সাংসদদের এই অসাংবিধানিক আচরণ নিয়ে বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদেই ফেেলছিলেন রাজ্য সভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
বিরোধীরা কাঠগড়ায়
সংসদ অধিবেশনের শুরু দিন থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। ইজরায়েলি স্পাইওয়ার ব্যবহার করে মোদী সরকার দেশের একাধিক রাজনৈতিক নেতার ফোনের গোপন তথ্য জানার েচষ্টা করেছে। এমনই অভিযোগে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী সাংবাদিকদের ফোনেও পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তদন্ত দাবি করে এডিটর্স গিল্ড সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। এবং সেখানে পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের দাবি জানায় তারা। যদিও রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেন এরকমকোনও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়নি। এদিকে পেগাসাস ইস্যুতে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে িবরোধীরা। রাজ্য সভায় বিক্ষোভ দেখানোয় তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল।