নবান্নের তরফে জারি করা নয়া বিজ্ঞপ্তি
নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন থেকে রাজ্যে দোকানপাট রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে। শুধু তাই নয়, বার-রেস্তোরাঁও রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে এই ছাড় ছিল রাত ৮টা পর্যন্ত। কিন্তু যেহেতু রাত ১১ টা থেকে নাইট কার্ফু শুরু হচ্ছে সেহেতু দোকান খোলা রাখার সময়সূচিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অগস্ট অর্থাৎ রবিবার থেকে এই শিথিলতা বলবৎ হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও রাত সাড়ে ১০ টার পর কোনও ভাবেই বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না বলে জানিয়েছে নবান্ন।
শুক্রবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে কোভিড বিধি অনুসরণ করে আউটডোরে সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে।
একই সঙ্গে সিনেমা হল, প্রেক্ষাগৃহ, থিয়েটার-সহ সুইমিং পুল এবং খেলার স্টেডিয়ামও খোলা যাবে। তবে ৫০ শতাংশ দর্শকের বেশি হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোর তরফে বাড়ছে পরিষেবা
অন্যদিকে রাজ্যে নাইট কার্ফু সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার জন্যে মেট্রোতে চলাচলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়মে রদবদল আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯টার সময়।
মেট্রোর তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ৮টা ৪৮ মিনিটে। দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টায়। আবার একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর আসার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টার সময়ে।
ট্রেন এখনই চলছে না
অন্যদিকে একাধিক বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লোকাল ট্রেন চালানোয় কিছুতেই অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই নিয়ে দফায় দফায় একাধিক স্টেশনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মানুষজন। কাজে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এই নিয়ে এবার নবান্নে মুখ খুললেন মমতা।
তিনি বলেছেন এখনই লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করবে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা সংলগ্ন জেলা গুলিকে করোনা টিকাকরণ ৫০ শতাংশ না করা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি তিনি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, বর্ধমান জেলায় করোনা টিকাকরণ ৫০ শতাংশ হয়ে গেলে তবেই লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি তিনি দেবেন বলে জানিয়েছেন।