মুখ খুলতে চলেছেন গনি
এই অবস্থায় আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন। যদিও ভারতের বন্ধু আশরফের ইতিমধ্যে পদত্যাগ দাবি করে বসে আছে তালিবান এবং পাকিস্তান। সন্ধির কোন রাস্তা তাঁর ভাষণের মধ্যে তুলে নিয়ে আসেন আফগানিস্তানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি, সেদিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছে।
এলাকার দখল নিচ্ছে তালিবানরা
ইতিমধ্যে তালিবানরা কালত, তেরেনকোট, পুল এ আলম, ফিরোজ কোহ, কালা এ নহ, লস্কর গাহ, হেরাত, কান্দাহারের মত প্রদেশগুলোকে দখল করে নিয়েছে। এবং এখন তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে থেকে একেবারে কাছে অবস্থান করছে।
হাতে চলে আসবে গোটা আফগানিস্তান
যে দ্রুত গতিতে তালিবানরা এগিয়ে আসছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে দেশ থেকে সেনাবাহিনী পুরোপুরি তুলে নেওয়ার আগেই তারা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ক্ষমতাচ্যুত হয় তালিবানরা
ঘটনা হল, ২০০১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল তালিবানদের। তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে ও তালিবানদের শিক্ষা দিতে দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রেখেছিল, যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। তবে এবার আলোচনার পর সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আমেরিকা-তালিবান সন্ধি
আলোচনায় ঠিক হয়েছিল যে তালিবানরা আফগানিস্তানে এমন কোনও সন্ত্রাসবাদীদের জায়গা দেবে না যারা পাশ্চাত্য দেশগুলির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাবে। এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই আমেরিকা সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। তবে সেই ঘটনা পুরোপুরি দিনের আলো দেখার আগেই তালিবানরা দেশের দখল নিতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে যা অবস্থা তাতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সেনা সরাচ্ছে আমেরিকা
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার কুড়ি বছরের দিনই পুরোপুরি আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করবে বলে ঘোষণা করেছে। এটি আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চলা যুদ্ধ। এবং এতে হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তালিবানরা
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পর আমেরিকা আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তার কারণ সন্ত্রাসবাদী ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল তালিবানরা। এবং আমেরিকার হুঁশিয়ারির পরেও তারা লাদেনকে তাদের হাতে তুলে দেয়নি। যার ফলে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা তালিবানদের কয়েক বছরের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়। এবং সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। এবার আবার ফের একবার তালিবানরা দেশটির দখল নিতে চলেছে।