২০১৫ থেকে পদে ছিলেন
জানা গিয়েছে ২০১৫ সাল থেকে প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির সভাপতির পদে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এইপদের মেয়াদ ছয়বছর। সেই সময়সীমা শেষ হলে, তাঁকে জানো হয়েছিল সমিতির তরফ থেকে। আরও জানা গিয়েছে ২০১৯ থেকেই তিনি এই সমিতিতে ভাল যোগাযোগ রাখতে পারছিলেন না, ব্যস্ততার কারণে। পরবর্তী সময়েই তিনি পদে ইস্তফাও দিতে যান। মেয়াদ শেষ না হওয়ায় ওই পদে থেকে যেতে বাধ্য হন শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে মেয়াদ শেষ হলে, নতুন সভাপতি নিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
অধিকাংশ সদস্যের পছন্দ মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ককে
প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির ৫১ জন সদস্য রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২৬ জন সমিতির সভাপতি হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর জায়গায় মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীকে বেছে নেন বলে জানা গিয়েছে।
কোষাধ্যক্ষ থেকে সভাপতির দায়িত্বে
মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এর আগে প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির কোষাধ্যক্ষের পদে ছিলেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি জানিয়েছেন, প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতি ভবন মহিষাদলের আবেগের জায়গা। তিনি বলেন, স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ , সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা-সহ বিল্পবীদের স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানগুলির রক্ষার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে সভপতির দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি খুশি। পাশাপাশি তিনি বলেন, মহিষাদলের স্মৃতি বিজড়িত যেসব জায়গা রয়েছে, সেগুলি রক্ষা করতে তিনি চেষ্টা করবেন।
আগও একাধিক পদ থেকে অপসারণ
গত ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই শাসক শিবির থেকে বিভিন্ন পদে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে অপসারণে পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগেই তাঁকে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হয়। তাঁকে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি্র পদ থেকে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। এছাড়াও তাঁকে জেলার বেশ কিছু স্থায়ী সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দেওয়ার এই ঘটনাকে রাজনৈতিক বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।