
রোহিঙ্গাদের পাশে হাসিনা সরকার
এমনকী লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের জায়গা দিতে গিয়ে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। যদিও বর্তমানে অবস্থা অনেকটাই অনুকূলে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শরণার্থীদের থাকার জন্য ভিন্ন জায়গারও ব্যবস্থা করেছে সেদেশের সরকার। কিন্তু করোনা সঙ্কট বাড়তে থাকায় রোহিঙ্গাদের টিকাকরণ নিয়েও দেখা দেয় উদ্বেগ। এদিকে করোনা ভ্যাকিসনের জন্য শুরু থেকেই ভারত সহ অন্যান্য টিকা প্রস্তুতকারক দেশের উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ।
খুশি মানবাধিকার কর্মীরা
এদিকে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে ভারত সহ অন্যান্য দেশে টিকা সঙ্কট বাড়তে থাকায় বেকায়দায় পড়ে বাংলাদেশ। সাধারণ নাগরিকদের টিকাকরণ নিয়েও বাড়তে থাকে উদ্বেগ। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টিকাকরণ কীভাবে উপায় সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল সকলকে। এমতাবস্থায় এবার বাংলাদেশ সরকার তাদের পাশে দাঁড়ানোয় স্বভাবতই খুশি মানবাধিকার কর্মীরাও।
একনজরে রোহিঙ্গাদের করোনা পরিসংখ্যান
সূত্রের খবর, বর্তমানে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়েই চলছে মূল টিকাকরণ প্রক্রিয়া।অন্যদিকে অন্যান্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গাকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখনও পর্যন্ত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৮ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। অন্যদিকে গত ৯ অগাস্ট পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ হাজার ৭৯৬ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৭৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছে ২৩২ জন রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশের পাশে কানাডা
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ডাকে সাড়া দিয়েছে কানাডা। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সম্প্রতি কানাডার দ্বারস্থ হয়েছিল সেদেশের সরকার। অবশেষে টিকা পাঠাতে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে কানাডা। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স ফেসিলিটির হাত ধরে কানাডা এখন পর্যন্ত ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি ৩০ মিলিয়ন টিকা ডোজ সরবরাহ করেছে। পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত আমেরিকার মতো দবড় দেশগুলিও।