গুয়াহাটিতে লাভলিনা
আজ সকালে অসমের গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছান অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লাভলিনা বরগোঁহাই। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ৬৯ কেজি বিভাগে বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জজয়ী লাভলিনাকে স্বাগত জানানো হয় রীতি মনে অসমের গামছা, জাপি ও ফুলের তোড়া দিয়ে। ভারতকে অলিম্পিক থেকে লাভলিনার আগে মাত্র দুজনই ব্রোঞ্জ এনে দিতে পেরেছেন। একজন হলেন লাভলিনার আদর্শ মেরি কম, অপরজন বিজেন্দ্র সিং।
|
স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, লাভলিনা কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণ করে ফিরেছেন টোকিও থেকে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও যে বিশ্বের সেরা মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে পদক জয় সম্ভব, সেই বিশ্বাসটিও তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য তো বটেই দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাদের মধ্যে। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লাভলিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী বিমল বোরা। বিমানবন্দর থেকে লাভলিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরেরই একটি হোটেলে। লাভলিনাকে স্বাগত জানাতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ছিল বিশাল কাটআউট।
বাড়ি ফেরা হল না
তবে নিজের রাজ্যে ফিরলেও এদিন বাড়িতে যাওয়া হল না লাভলিনার। অসম সরকারের তরফে সংবর্ধিত হয়ে এবং রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে দিল্লি ফিরতে হবে। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে টোকিও অলিম্পিকের পদকজয়ীদের সঙ্গে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য লাভলিনাকে ফের দিল্লিতে যেতে হবে।
থাকবেন লালকেল্লায়
লাভলিনার বাড়ি অসমের গোলাঘাট জেলার বড়মুখিয়া গ্রামে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর মা এখন আরোগ্য লাভের পথে। মায়ের অপারেশনের সময় জাতীয় শিবিরে থাকার জন্য পাশে থাকতে পারেননি লাভলিনা। টোকিওয় পদক জয়ের পরই তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের অলিম্পিকে সোনার লক্ষ্যে তা জিততে পারেননি। তাই প্যারিস অলিম্পিক থেকে সোনা আনার লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করবেন। তবে তার আগে আট বছর ছুটি নেননি। আপাতত দিনকয়েক বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে ফের শুরু করবেন অনুশীলন। দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর ফের লাভলিনা বাড়িতে এসে থাকবেন। ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে দেখা করে প্রিয় অসমের খাবারের স্বাদ লাভলিনা পেয়েছেন অনেক বছর পর। সবমিলিয়ে কয়েক দিন পর ফের ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন অসম তথা দেশের গর্ব লাভলিনা।