মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফ জুনের থেকে অনেকটাই কমল জুলাইয়ে, এদিকে আম আদমির রান্না ঘর জ্বলছে দামের ঝাঁঝে

ভারতের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সুখবর শোনাল রিপোর্ট। গতমাসের চেয়ে এমাসে ভারের মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই কমেছে বলে জানানো হয়েছে। জুন মাসে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.২৬ শতাংশ ছিল। সেটা অনেকটা কমে গিয়েছে। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৯ শতাংশ। করোনা কালে মুদ্রাস্ফীতির পতন বেশ আশাজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। যদিও বাজারে কিন্তু জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য। বেশিরভাগ সবজির দামও ১০০ টাকা কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে।

করোনা ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি। কোনও কিছু করেই সামলে ওঠা যাচ্ছে না এমনই কঠিন পরিস্থিতি। অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেলের দাম। পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে বাড়তে সেঞ্চুরি পার করেছে। যার জেরে পরিবহণ খরচও বেড়ে গিয়েছে।তার প্রভাব এসে পড়ছে চালডাল, শাকসবজি, মাছ মাংসেও। দোকান বাজারে ১০০ টাকা নিয়ে বেরোলে একটা বা ২ জিনিসের বেশি বাড়িতে আসে না। এমনই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার উপরে বর্ষার কোপ। শাক সবজির যোগান কমছে বাজারে। একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্ষতি হয়েছে চাষের। তাতে আরও দাম বাড়তে শুরু করেছে জিনিসের। তার উপরে আবার রান্নার গ্যাসের দামও বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় ১০০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। মধ্য বিত্তের চরম সংকট। বাজার থেকে জ্বালানি সবেতেই পকেট পুড়ছে আম আদমির। এই নিয়ে সংসদে বিক্ষোভ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। বিরোধীরা পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সংসদে।

এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে আবার আশার কথা শুনিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি রিপোর্ট। জুলাই মাসে নাকি মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই কমেছে ভারতে। জুন মাসে যেখানে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ৬.২৬ শতাংশ ছিল সেটা জুলাই মাসে কমে হয়েছে ৫.৫৯ শতাংশ। অনেকটাই কমেছে মুদ্রাস্ফীতি। ফুড ইনফ্লেশন কমেছে তার অন্যতম কারণ নাকি জিিনসের দাম কমেছে। জুন মাসে যেখানে ফুড ইনফ্লেশন ৫.৫১ শতাংশ ছিল সেটা জুলাই মাসে অবিশ্বাস্য হারে কমেছে। ৩.৯৬ শতাংশে এসে নেমেছে। এমনই জানিয়েছে সিপিআই বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স। মুদ্রাস্ফীতি কমলে বাজারে শাক সবজির দাম কীভাবে এত বাড়ছে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সংকট জনক অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই এবার রেপোরেট বাড়ায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিভার্স রেপোরেটও অপরিবর্তিত রেখেছে। তাতে অনেকটাই স্থিতাবস্থা ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও করোনার ধাক্কার ঘাটতি সামাল দিতে এখনও অনেক দিন সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।মোদী সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প কতা কাজে দিচ্ছে সেটা এবার বোঝা যাবে। যদিও করোনা কালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির মান অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে মুডিজ।

More INFLATION News  

Read more about:
English summary
Inflamation rate of July 2021