সেকেন্ড ওয়েভে থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেই সতর্ক কমিশন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল গুলির মতামত তলব

সেপ্টেম্বরেই উপনর্বাচন করানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আবার করোনার থার্ড ওয়েভের শঙ্কাও রয়েছে। তাই এই নিয়ে একক ভাবে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন করানো নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চেয়েছেন তাঁরা। কারণ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। তাতে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকেই। তাই এবার বেশি সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগে থেকেই ভোট নিয়ে মেপে মেপে পা ফেলছে।

সেপ্টেম্বরেই বিধানসভা ভোটের সম্ভাবনা

মে মাসে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তার পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও উপনির্বাচন করার কোনও তোরজোর শুরু হয়নি। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার গিয়ে উপনির্বাচন করানোর কথা বলা হয়েছে।তার পরেই শোনা যাচ্ছিল সেপ্টেম্বর মাসে বিধানসভা উপনির্বাচন করানোর কথা ভাবছে কমিশন। সিইও অফিসে নািক এই নিেয় কথাও বলেছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে পুজোর আগেই রাজ্যের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরও।

৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন

রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী কিন্তু জিততে পারেননি। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। কাজেই সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক নেতা যদি বিনা নির্বাচনে বা নির্বাচনে হারের পরেও মুখ্যমন্ত্রী হন তাহলে তাঁকে শপথ গ্রহনের ৬ মােসর মধ্যে জিতে আসতে হয়। নইলে সেই মুখ্যমন্ত্রী পদে আর তিনি থাকতে পারেন না। সেই কারণেই বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে বিশেষ তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। দুই দফায় কমিশনের কাছে গিয়ে দরবার করেছেন তাঁরা। দুই দফাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আস্বস্ত করেছে কমিশন। তৃণমূলের দাবি ছিল করোনার সেকেন্ড ওয়েভ অনেকটাই কমে গিয়েছে এখন। সেকারণে এখন নির্বাচন করা যেতেই পারে। সাত দিন প্রচারের সময় দিয়ে নির্বাচন করাতেও তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিল তৃণমূল। ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা এই সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা।

করোনা কাঁটা

উপনির্বাচন ঘোষণার আগে করোনা সংক্রমণের জুজু দেখছে কমিশন। কারন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পরেই গোটা দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সেকেন্ড ওয়েভ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল ভরতে। অসংখ্যা মানুষ মারা গিয়েছেন। তীব্র অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে। তার জন্য কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশন করোনা বিধি কড়া না করেই ৫ রাজ্যের ভোটের প্রচারে ছাড় দিয়েছিল। এবং ভোট গ্রহনেও তেমন কোনও করোনা বিধি মানা হয়নি বলে কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল হাইকোর্টের কাছে। তাই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে দোটানায় রয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এই নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। আর একা সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় তারা। ৩০ অগাস্টের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। করোনা বিধি নিয়ে কিছু নির্দেশিকা তাঁরা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছেন। সেগুলি নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।

করোনার থার্ড ওয়েভ

করোনার থার্ড ওয়েভ অগস্ট মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সেটা পিক নেবে অক্টোবর মাসের প্রথমে। সেপ্টেম্বরে ভালই করোনা সংক্রমণ হবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। থার্ড ওয়েভ নিয়ে গবেষকদের সতর্কবার্তার পরেই সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনের নিয়ে ভাবনা চিন্তা। গবেষকদের সতর্কবার্তা নিয়েই চিন্তিত কমিশন। সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন ঘোষণা করার পরে ফের যদি সেকেন্ড ওয়েভের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই নিয়ে দোটানায় রয়েছেন তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তার সঙ্গে করোনার আর ভ্যালুও বাড়ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণও বাড়তে শুরু করেছে একাধিক রাজ্যে।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More ELECTION COMMISSION News  

Read more about:
English summary
Election commission want opinion of all party for Assembly by election in Corona situation