
নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি
আজ কলকাতা হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা নন্দীগ্রাম নির্বাচন মামলার শুনানি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের প্রক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শম্পা সরকার এজলাসে মামলা ওঠে। তিনি নির্দেশে দিয়েছেন, ইলেকশন পিটিশনে আসা অভিযোগের ওপর লিখিত জবাব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সারতে হবে। ১৫ নভেম্বর ফের নন্দীগ্রাম ইলেকশন পিটিশনের শুনানি হবে। এই মামলার শুনানি ৩ মাস পিছিয়ে যাওয়ার মূলে রয়েেছ শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম মামলা স্থানান্তরের আবেদন। শীর্ষ আদালতে এই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু
নন্দীগ্রাম নির্বাচনের মামলা স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই আজকের মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে পিছিয়ে দেওয়া হোক শুনানি। হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চেই নন্দীগ্রাম মামলার নিরপেক্ষ বিচার হবে না বলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেকারণে সেই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানান তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে শেষ পর্যন্ত মামলা ৩ মাস পিছনোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সেপ্টেম্বরে ভোট
সেপ্টেম্বর মাসেই উপনির্বাচন করা হতে পারে রাজ্যে। এমনই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে তার সব রাজনৈতিক দলের কাছেই মতামত জানতে চেয়েছে কমিশন। কারণ করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে কমিশনরে তীব্র ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে। সেপ্টেম্বর মাসে ভোট করালে যদি ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেপ্টেন্বর মাসে ভোট হলে ভবানীপুরে প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নভেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হলে শুভেন্দু অধিকারীর খুব একটা লাভ হবে না। আর যদি সেপ্টেম্বরে ভোট না হয়ে নভেম্বরে হয় তাহলে চাপ বাড়বে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর। কারণ নন্দীগ্রাম মামলার শুনানির ৫ দিনআগেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচিত না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হয়। নইলে তার মুখ্যমন্ত্রী পদ খারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ৫ মে শপথ নিয়েছিলেন মমতা ৫ নভেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে ৬ মাস।
সুবিধা হবে না শুভেন্দুর
নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি নভেম্বরে যদি হয় আর যদি সেপ্টেম্বরেই উপনির্বাচন করায় কমিশন তাহলে এই মামলা পিছনোয় খুব একটা লাভ হবে না বিরোধী দলনেতার। যে ক্যালকুলেশন করে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন। এবং সেই আবেদন দেখিয়ে হাইকোর্টে মামলা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন সেটা খুব একটা কাজে দেবে না। কারন উপনির্বাচন আগে হলে জিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচিত হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন তিনি। এবং সেই পদ আরও পোক্ত হবে।