গত কয়েকদিনে আফগানিস্তানে অনেকটাই বেড়েছে তালিবান আগ্রাসন। গত ৬ দিনে দখল হয়ে গিয়েছে দেশের ৯টি প্রাদেশিক রাজধানী। এদিকে ইতিমধ্যেই গজনি দখল করে কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তালিবানেরা। এদিকে ইতিমধ্যেই আফগানিস্তনের দুই তৃতীয়াংশ এলাকাই এসেছে তালিবানদের দখল। আর তাতেই চাপে পড়েছে আফগানিস্তানের নির্বাচিত সরকার। তালিবানদের আগ্রাসী মেজাজের কাছে অবশেষে মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। বর্তমানে সমাঝোতার রাস্তায় হেঁটেই দেশে শান্তি ফেরাতে চাইছে সেদেশের সরকার।
আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শান্তি ফেরাতে বর্তমানে তালিবানদের সরকারে জায়গা দিতে চাইছে আশরফ প্রশাসন। এমনকী সরকারে তাদের প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অস্ত্র ফেলতে কিছুদিন আগেই নয়া শর্ত বেঁধে দিতে দেখা যায় তালিবানদের। শর্ত মোতোবেক সরতে হবে আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিকে। আর তারপরেই সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের রাস্তায় হাঁটবে তারা।
এদিকে আশরফ প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের ছেলেকে গজনির প্রাদেশিক রাজধানী দখল করার সময় অপহরণ করেছে তালিবানি জঙ্গিরা। আর তাতেই কালঘাম ছুটেছে সরকারের।অন্যদিকে আফগান প্রশাসনের তরফেও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, তালিবানি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত দেশের প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১০টি দখল করে ফেলেছে। তালিবানদের প্রধান লক্ষ্য এখন কাবুল। এমনকী পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে শীঘ্রই পড়তে পারে নির্বাচিত সরকার।
এমতাবস্থায় সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা ছাড়া সরকারের কাছে আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। এদিকে তালিবান গ্রাস থেকে আফগানিস্তানকে রক্ষা করতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে আফগান সেনা৷ কিন্তু ন্যটো বাহিনী ক্রমশ পিছু হটায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এদিকে সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আমেরিকা, চিন, কাতার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরাও।