ফের বেদখল গজনী, তালিবানরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই আফগান শহরে, পরের টার্গেট কি কাবুল?

আর কোনও বাধা নেই। ফাঁকা মাঠ। ন্যাটো বাহিনী চলে গিয়েছে। আর কে আটকায়। ঝড়ের গতিতে একের পর এক শহর দখল করে চলেছে তালিবানরা। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের শতাব্দী প্রাচীন শহর গজনীর দখল নিয়েছে তালিবানরা। কাবুল গজনী থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। কাবুল কান্দাহার হাইওয়ের উপরেই রয়েছে গজনী। কাবুলে ঢোকার আগে গজনীকে দেশের অন্যতম প্রধান শহর বলা চলে।

সূত্রের খবর আফগানিস্তানের একাধিক এলাকা দখল নিতে শুরু করেছে তালিবানরা। গজনীর দখলের পর কাবুল নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সেখানকার সরকার। গজনীর প্রাদেশিক কাউন্সিলের অফিসার নাসির আহমেদ ফাকিরি জানিয়েছেন, তালিবানরা গজনীর সব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের দখল নিয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষ জারি থাকলেও সেটা বেশিক্ষণ চলবে না বলে মনে করছেন তিনি। কারণ শক্তিতে তালিবানরা অনেক বেশি। তুলনায় অনেকটাই দুর্বল সরকারি পুলিশ এবং আফগান সেনা। কারণ ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই অনেক আফগান সেনাই তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছিল গোটা বিশ্বে। একে একে সেনারা তালিবানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে দেখা গিয়েছিল সেই ভিডিওয়।

তালিবানদের পক্ষ থেকে গজনী শহর দখলের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে গজনী শহর তারা দখল নিয়ে ফেলেছে। গত মে মাস থেকেই তালিবানদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দফায় দফায় আলোচনা করেছিল আমেরিকার ন্যাটো বাহিনী। আফগান সরকারের অংশিদার করা হয়েছিল তাদের। তারপরেই আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে লড়াই করেছে মার্কিন সেনা। হঠাৎ করে সেনা প্রত্যাহারে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল আফগান সেনা। গজনী তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ায় েযন প্রমাদ গুণছে কাবুল।

উত্তর আফগানিস্তানের একাধিক শহর তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। কান্দাহারে ও লস্কর গড়ে এখনও তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে আফগান সেনার। তালিবানদের ফের জাগ্রহ হয়ে ওঠাকে একেবারেই সহজ ভাবে দেখছে না পশ্চিমের দেশগুলি। উদ্বেগে ভারতও। রাশিয়া ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বৈঠক করেছে একাধিক দেশকে নিয়ে। তাতে ভারত অবশ্য ছিল না। তালিবানদের বাড়বাড়ন্তকে সহজে মেনে নিতে নারাজ একাধিক দেশ।তারা নতুন করে সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা দেখতে শুরু করেছে।সংঘর্ষ আর হিংসা থামাতে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবানদের। ক্ষমতা ভাগ করে দেশ শাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

More TALIBAN News  

Read more about:
English summary
Know the situation of Afghanistan