উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এবং উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিশেষ করে অসম এবং মেঘালয়ে ১৩ অগাস্ট এবং ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে এবং সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার ছাড়াও, শুক্রবার এবং শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে এইসব জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি সম্ভাবনা
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রবিবার স্বাধীনতা দিবসের আশপাশের সময়ে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে ওড়িশা ছাড়াও উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, বিদর্ভ এবং ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওড়িশায় আগামী ১৫-১৭ অগাস্টের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণ ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য ভারতে ১৫ অগাস্ট থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত পরপর দুসপ্তাহে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গড় বৃষ্টি এখনও পর্যন্ত কম। যার জেরে গ্রীষ্মকালীন সফল যেমন তুলো এবং সয়াবিন, ভুট্টা, ধান চাষে তার প্রভাব পড়তে পারে। যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে, সেই সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের গত ৫০ বছরের গড় বৃষ্টিপাতের থেকে ৩৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তুলো এবং সয়াবিন চাষের এলাকা মধ্য এবং পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কম।
যদিও জুন মাসে মৌসুমী বায়ুর বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশের মতো বেশি। যা জুলাইয়ে গড়ের থেকে ৭ শতাংশ কমে যায়। ১ জুন থেকে বর্ষার যে ঋতু শুরু হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত গড়ে ছয় শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ৩৩.৬ (৩৩.৭)
বালুরঘাট ৩১.৮ (৩১.২)
বাঁকুড়া ৩৪.২ (৩৩.৯)
ব্যারাকপুর ৩২.৬ (৩৫.৪)
বহরমপুর ৩৪ (৩৫)
বর্ধমান ৩৪ (৩৬)
ক্যানিং ৩৩.৪ (৩৩.৬)
কোচবিহার ২৯.৭ (৩১.৭)
দার্জিলিং ২০.২ (২২.২)
দিঘা ৩৪.৮ (৩৫.৮)
কলকাতা ৩১.৩ (৩৫)
মালদহ ৩০.৩ (৩২.৩)
পানাগড় ৩৪.৮ (৩৪.৮)
পুরুলিয়া ৩২.৩ (৩৩.৩)
শিলিগুড়ি ৩০.৮ (৩৩.৬)
শ্রীনিকেতন ৩৪.৩ (৩৫)