মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফল প্রকল্পগুলির অন্যতম হল 'খাদ্যসাথী', একনজরে এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি

প্রায় পাঁচবছরেরও বেশি সময় আগে রাজ্যে খাদ্যসাথী ( Khadya Sathi) প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( mamata banerjee)। এই প্রকল্পে বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বহু মানুষ এই প্রকল্পে উপকৃত। একনজরে এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি।

পরিবারের ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকলে কিংবা ভর্তুকি যুক্ত খাদ্যশস্যের আওতায় আসতে চাইলে

১) ফর্ম ৩ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) আবেদনকারীর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে (পাঁচ বছরের কম হলে জন্মের সার্টিফিকেট দিতে হবে)।
৩) আবেদনকারীর নিজের কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের বৈধ মোবাইল নম্বর লাগবে।
৪) আধার কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানা ভিন্ন হলে সেই ঠিকানার প্রমাণ দিতে হবে। ( পাসপোর্ট/বিদ্যুতের বিল/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ ফোনের বিল)

পরিবারের কিছু সদস্য ডিজিটাল রেশন কার্ড না পেয়ে থাকলে

১) ফর্ম ৪ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) পরিবারের প্রধান কিংবা অন্য কোনও সদস্যের ডিজিটাল কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৩) আবেদনকারীর নিজের কিংবা পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে।
৪) পরিবারের সকল ডিজিটাল রেশন কার্ডধারীর আধার কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।

রেশন কার্ডে নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে

১) ফর্ম ৫ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) বর্তমান টিজিটাল রেশন কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে।
৩) প্রয়োজনীয় সংশোধনের সমর্থনে নথি জমা দিতে হবে( ভোটার কার্ড/ কিসান ক্রেডিট কার্ড/ ব্যাঙ্কের পাশ বই/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্টের ফটোকপি)
৪) আবেদনকারীর আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে ( ৫ বছরের নিচে হলে জন্মের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে)
৫) আবেদনকারীর নিজের কিংবা পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের বৈধ মোবাইল নম্বর লাগবে।

রেশন দোকান কিংবা ন্যায্য মূল্যের দোকান পরিবর্তন

১) পুরো পরিবারের ক্ষেত্রে ফর্ম ৬ আর আংশিক পরিবারের ক্ষেত্রে ফর্ম ১৩ এবং বিবাহ জনিত কারণে ফর্ম ১৪ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) বর্তমান ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
৩) আধার কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
৪) বিবাহের কারণে দোকান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিবাহের শংসাপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৫) পরিবারের বাকি সদস্যদের আধার কার্ডের ফটো কপি জমা দিতে হবে।

মৃত্যু কিংবা অন্য কোনও কারণে রেশন কার্ড জমা দিতে গেলে

১) ফর্ম ৭ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) ডিজিটাল রেশন কার্ড জমা দিতে হবে।
৩) মৃত্যুর শংসাপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

বিকল্প রেশন কার্ড পেতে হলে

১) ফর্ম ৯ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) হারিয়ে যাওয়া ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। না থাকলে পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের রেশন কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৩) পরিবারের সব সদস্যের আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। ( বয়স ৫ বছরের নিচে হলে জন্মের সার্টিফিকেটের ফটোকপি জমা দিতে হবে)
৪) রেশন কার্ড নষ্ট হয়ে গেলে ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

ভর্তুকীহীন রেশন কার্ড পেলে গেলে

১) ফর্ম ১০ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
২) রেশন কার্ডের ফটোকপি থাকলে তা জমা দিতে হবে।
৩) ৫ বছরের বেশি বয়সের ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। ( ৫ বছরের নিচের জন্য জন্মের সার্টিফিকেটের ফটোকপি)

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে গেলে

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে গেলে তাকে কাছের ক্যাম্পে যেতে হবে। সেখানে প্রত্যেক রেশনকার্ড গ্রাহককে উপস্থিত থাকতে হবে।
এই কাজের জন্য রেশন কার্ড ছাড়াও আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে।
সব ধরনের ফর্ম অলনাইনে বা অফলাইনে খাদ্য পরিদর্শকের কার্যালয় কিংবা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে জমা করা যাবে।

২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি খাদ্যসাথী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রায় ৮ কোটি মানুষ অর্থাৎ রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে বিনামূল্যে চাল-গম পেয়ে থাকেন। সরকারি দাবি অনুযায়ী এই প্রকল্পে ডিজিটাল রেশন কার্ড বন্টনের সংখ্যাও প্রায় ৮ কোটির মতোই।

খাদ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের তালিকায় রয়েছেন জঙ্গলমহলের ৩৩ লক্ষের বেশি মানুষ. চা-বাগান কর্মচারী, সিঙ্গুরের জমি হারা, দার্জিলিং-এর পাহাড়ি এলাকার মানুষও এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More MAMATA BANERJEE News  

Read more about:
English summary
Khadya Sathi Scheme: Know About This Food Security Related West Bengal Govt Scheme in Bengali in Detail