আগেই শেষ বাদল অধিবেশন
জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। শুরু থেকেউ উত্তাল ছিল সংসদের দুই কক্ষ। পেগাসাস, পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করোনা ভ্যাকসিন, কৃষি বিল প্রত্যাহার সহ একাধিক ইস্যুতে বিদ্রোহী হয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। রাজ্য সভা থেকে লোকসভা দুই কক্ষেই একজোট হয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে কাগজ ছুড়ে ফেলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা একাধিক কর্মকাণ্ড করেছে বিরোধীরা। অধিবেশন বয়কট করা পর্যন্ত করেছেন তাঁরা। পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা দাবি করে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের ২ দিন আগেই বন্ধ করে দিয়ে হয় বাদল অধিবেশন। এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা দাবি করেন বিরোধীদের মনোভাবের কারণেই সময়ের আগে বাদল অধিবেশন শেষ করে দিতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। বিরোধীরা কিছুতেই সংসদে আলোচনা হতে দিতে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
পাল্টা নিশানা ডেরেকের
সংসদ অধিবেশন আগেই বন্ধ করে দেওয়ার পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন। মনমোহন জমানার প্রসঙ্গ টেনে এনে ডেরেক বলেছেন মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনিও সংসদ অধিবেশন েতমন পছন্দ করতেন না। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন কখনও এড়িয়ে যেতেন না তিনি। সংসদে বিরোধীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন। কিন্তু মোদী সেটারও প্রয়োজন মনে করেন না। দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং দেবেগৌড়া যদি উপস্থিত থাকতে পারেন সংসদে তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন পারলেন। তিনি কেন বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না বলে সরব হয়েছেন ডেরেক।
মোদীকে ৭টি প্রশ্ন ডেরেকের
সংসদ অধিবেশন আগেই শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোয় পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ৭টি প্রশ্ন করেছেন ডেরেক। প্রথম প্রশ্ন: কোথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? কেন তাঁরা সংসদ অধিবেশনে এসে বিরোধীদের প্রশ্ন শোনার সময় বের করতে পারলেন না? যেখানে দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং এইচডি দেবেগৌড়া সক্রিয় ভাবে সংসদ অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন পারলেন না? দ্বিতীয় প্রশ্ন:বিরোধীরা সংসদে দুটি বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিল। পেগাসাস আর কৃষি বিল। কেন এই দুটি বিষয়ে বিরোধীদের কথা শুনে আলোচনা করতে দেওয়া হল না? তৃতীয় প্রশ্ন: বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ না দিয়েই সংসদের দুই কক্ষে মোট ৩৯টি বিল পাস করানো হয়েছে। কেন বিরোধীদের আলোচনার সুযোগ দেওয়া হল না। এবং প্রতিটি বিল পাস করানোর হয়ে মাত্র ১০ মিনিটের সময় দিয়ে। চতুর্থ প্রশ্ন: ২০১৪ সালে ৬০ থেকে ৭০শতাংশ বিল রিভিউর জন্য পার্লামেন্টি কমিটিতে পাঠানো হত। এখন সেটা কমিয়ে মাত্র ১১ শতাংশ হয়ে িগয়েছে কেন?
শেষ তিন প্রশ্নে কী বললেন ডেরেক
পঞ্চম প্রশ্ন:ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিলের ক্ষেত্রেই সংশোধনী বা অর্ডিনেন্স আনা হত। আগে প্রতি ১০টি বিলের ক্ষেত্রে ১টি অর্ডিন্যান্স আনা হত। এখন প্রতি ১০টি বিলের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪টি অর্ডিন্যান্স জারি হয়। জরুরি বিলের ক্ষেত্রেই সাধারণ এটা করা হয়ে থাকত আগে। সেটা এখনঅনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ প্রশ্ন: সংসদ অধিবেশন এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিংও পছন্দ করতেন না সংসদ অধিবেশন। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিতেন। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায়আসার পর থেকে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। সপ্তম প্রশ্ন: রাজ্যসভায় নিজেরা সংখ্যা গরিষ্ঠ বলে দাবি করে থাকে বিজেপি। কিন্তু এখনওপর্যন্ত রাজ্য সভায় কেন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ হয়নি?