১৫ দিনের মধ্যেই গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে চাল-ডাল! 'Duare Ration' প্রকল্পে এই তথ্যগুলি কি জানতেন?

এবারের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূলের কাছে! আর তাই মানুষের মন পেতে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলার মানুষ উজার করে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। তৃতীয় বারের জন্যে ফের একবার বাংলার মসনদে তিনি। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বসেই দেওয়া কথা রাখতে শুরু করেছেন তিনি। একে একের সমস্ত প্রকল্প চালু হতে চলেছে।

যেমন পুজোর আগেই চালু হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এবার পুজোর মিটতেই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষ পাবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কবে থেকে চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প!

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও একটি স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে রেশন। অনেকে বলেন, ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত এই সমস্ত স্কিম ভোটের আগে নিয়ে আসা হয়। ভোট মিটতেই সেই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে সুবিধা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক এক করে ইতিমধ্যে একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু কবে থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের শুরু হবে তা নিয়ে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়। কারণ ভোট মেটার প্রায় কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরও দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু না হওয়াতে প্রশ্ন তুলতে থাকে বিরোধীরা। এই অবস্থায় বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন থেকে শুরু হবে ‘দুয়ারে রেশন' প্রকল্প।

কি এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প!

মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো এবার থেকে রেশন দোকানে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। বাড়ির দরজাতেই পৌঁছে যাবে রেশন। অর্থাৎ ঘরেই পৌঁছে যাবে চাল, আটা। জানা গিয়েছে, মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে রেশন দোকান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন রেশন ডিলাররা। রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন বা পাবেন এই সমস্ত গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে যাবে রেশন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দারাই নন, পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে

দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছানো যাবে সেটি একটা চ্যালেঞ্জ। আর তাই ইতিমধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে রাজ্য প্রশাসনে। জানা যায়, সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে খাদ্য দফতর বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে রেশন ডিলাররাও ছিলেন। সমস্ত রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সেই বৈঠকে কীভাবে মানুষের দরজাতে রেশন পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে এই প্রকল্প চালানোর জন্য প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে রেশন ডিলারদের কমিশন দিতে হবে বলে জানানো হয়।

শুধু তাই নয়, প্যাকেজিং খরচও রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো ডিলাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেবেন গ্রাহকের।

ইতিমধ্যে পাইলট রান হয়ে গিয়েছে

দুয়ারে রেশন প্রকল্পে কোনও রকম সমস্যা কিংবা দুর্নীতি সহ্য নয়। আর তাই ফুলদমে এই প্রকল্প চালু করতে ইতিমধ্যে রাজ্যে পাইলট রান করেছে স্বাস্থ্য দফতর। মে মাসে কলকাতা-সহ রাজ্যের ২২টি জেলায় দুয়ারে রেশন ব্যবস্থার পাইলট রান হয়েছে। ২৮ জন রেশন ডিলারের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভাবে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া হয় এই পাইলট রানের মাধ্যমে। জানা যাচ্ছে, আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতে এই প্রকল্পের পাইলট রান চালানো হবে। তবে এখনই পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

More MAMATA BANERJEE News  

Read more about:
English summary
West Bengal Govt Schemes in Bengali: Ration will be provided to doorstep by WB Govt