সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অভিনন্দন
নবান্নে পাঠানো চিঠিতে সামাজিত ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০২১-এ তৃতীয়বার জয়ের জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ৬ ও ৭ অক্টোবর রোমে উপস্থিত থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। বৈঠকের থিম 'পিপলস অ্যাস ব্রাদার্স, ফিউচার আর্থ'।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানকে কুর্নিশ
Community of Sant'Egidio-এর সভাপতি প্রফেসর মার্কো ইমপ্যাগলিয়াজো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন গত ১০ বছরে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নে অবদান অসামান্য। পাশাপাশি শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া ও দুঃস্থদের সাহায্য, অসহায়দের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ তাদের নজরে এসেছে। বলা হয়েছে, Community of Sant'Egidio-এই সংগঠন যেমন সারা বিশ্বে দুর্বল ও দুঃস্থদের নিয়ে কাজ করে, ঠিক তেমনই করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি সংস্থার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাঁরা সামাজিত ন্যায় এবং সুঃস্থদের জন্য ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে চলেছেন। বলা হয়েছে, পৃথিবী জুড়ে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাঁদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় অনেকেই
শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ধর্মগুরুদেরও। পোপ ফ্রান্সিসকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেখানে। এছাড়াও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, মিশরের ইমাম আহমেদ আল তায়িবের মতো ব্যক্তিও। সেই মঞ্চে ভারতের মতো একটি দেশের অঙ্গরাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিল মমতা
তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে Community of Sant'Egidio-এর আমন্ত্রণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নতুন কিছু নয়। কেননা আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে মাদার টেরিজাকে সন্ত ঘোষণার দিনে তিনি ভ্যাটিক্যানে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭-তে হেগ শহরে পাবলিক সার্ভিস ফোরামে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কন্যাশ্রী প্রকল্পের স্বীকৃতির অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছরে লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিয়নের তরফ থেকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।