সুস্থ হয়ে উঠছেন মহিলা
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে ওই মহিলা সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদেরও কোনও উপসর্গ নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে পুরন্দর তেহসিলে জুলাইয়ের গোড়ার দিকে একাধিক জ্বরের কেস সনাক্ত হয়েছিল। যার মধ্যে পাঁচটি নমুনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজি (এনআইভি)-তে টেস্টের জন্য পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে তিনজনের নমুনায় চিকুনগুনিয়া পজিটিভ আসে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে
এছাড়াও এনআইভির দল বেলসার ও পরিঞ্চে গ্রাম পরিদর্শন করেন ২৭ ও ২৯ জুলাই এবং ৪১ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ২৫ জনের চিকুনগুনিয়া পজিটিভ, তিনজনের ডেঙ্গু ও একজনের শরীরে জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয়। রাজ্যের দ্রুত প্রতিক্রিয়া বাহিনীর দল শনিবার এলাকা পরিদর্শনে এসে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আগাম সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করা নিয়ে কথা বলেন। স্বাস্থ্য বিভাগও গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সার্ভে করেছে।
আতঙ্কিত নয়, সচেতন থাকুন
পুনে জেলার প্রশাসন স্থানীয় মানুষকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে নেমে কাজ করছেন তাই এই ভাইরাস দ্রুত সনাক্ত হচ্ছে এবং চিকিৎসাও শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ন্ত্রণের ডন্য কঠোর পরিশ্রম করা হচ্ছে। এ বছর শুধুমাত্র কেরলে প্রথম জিকা ভাইরাসের কেস সনাক্ত হয়। এরপর দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্তমানে ৬৩টি জিকা ভাইরাসের কেসের দেখা মিলেছে।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহনকারী এডিস মশাই এই জিকা ভাইরাস ছড়ায়। জিকা ভাইরাসের উপসর্গগুলি হল জ্বর, গায়ে হাত-পায়ে ব্যাথা, র্যাশ, মাথা ব্যাথা, কনজাংটিভাইটিস, গাঁটে ব্যথাও দেখা দিতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে যে এই উপসর্গগুলি ২-৭দিন থাকে এবং অধিকাংশ মানুষের শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না।
জিকা ভাইরাসের ইতিহাস
১৯৪৭ সালে আফ্রিকাতে প্রথম জিকা ভাইরাসের স্ট্রেইন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাস প্রথম নজরে আসে ২০১৫ সালে যখন তা ব্রাজিলে পাওয়া যায়। এরপর ধীরে-ধীরে এই জিকা ভাইরাস ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসটি সাধারণত ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া, যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়ায়। ২০১৬ সালে হু জিকা ভাইরাসকে পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি হিসেবে চিহ্নিত করে।