চোটে কাবু
ফরাসি ওপেনের পর দিন ২০ বিশ্রাম নিয়ে গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে সিটি ওপেনে খেলতে নেমেছিলেন রাফা। প্রথম রাউন্ডেই জ্যাক সকের বিরুদ্ধে তাঁকে জিততে হয়েছিল বেশ ঘাম ঝরিয়ে। ফাইনাল সেটে টাইব্রেকে জিতে। যদিও তৃতীয় রাউন্ডের বাধা আর টপকাতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার লয়েড হ্যারিসের কাছে হেরে ছিটকে যান।
নাম প্রত্যাহার
এরপর খেলছিলেন রজার্স কাপে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সেই লয়েড হ্যারিসের মুখোমুখি হওয়ার আগেই সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। বাঁ পায়ের চোটই ভোগাচ্ছে তাঁকে। গতকাল তিনি রজার্স কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আজ সরে দাঁড়ালেন সিনসিনাটি মাস্টার্স থেকেও। বিশ্বের দুই নম্বর ড্যানিল মেদভেদেভ এবার তাই সিনসিনাটিতে পুরুষদের শীর্ষ বাছাই হিসেবে শুরু করবেন। থাকবেন দু-বারের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারে (২০১১ ও ২০০৮), মারিন চিলিচ (২০১৬) ও গ্রিগর দিমিত্রভ (২০১৭)।
বাড়ছে উদ্বেগ
সিনসিনাটি খেতাব ২০১৩ সালে জিতেছিলেন রাফায়েল নাদাল। এবার সিনসিনাটি ওয়েস্টার্ন অ্যান্ড সাদার্ন ওপেন শুরু অগাস্টের ১৪ তারিখ থেকে। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। নাদাল সেই টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে আয়োজকরা আজ জানিয়েছেন। ফলে নাদাল ভক্তরা ইউএস ওপেন শুরুর আগে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন টেনিস তারকার চোট নিয়ে।২০১০, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ইউএস ওপেন খেতাব জিতেছেন নাদাল। সবচেয়ে বেশি ১৩ বার জেতা ফরাসি ওপেনে অবশ্য তাঁকে সেমিফাইনালে হার মানতে হয়েছিল নোভাক জকোভিচের কাছে। ২০১৯ সারে ইউএস ওপেনে হার্ড কোর্টে নাদাল পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ড্যানিল মেদভেদেভকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। কিন্তু উইম্বলডনে এবার নাদাল খেলেননি। ফরাসি ওপেনে হেরেছেন সেমিফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বিদায় নিতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। ফলে মরশুমে একটিও গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিততে পারেননি নাদাল। ১৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন জকোভিচ। তবে আপাতত নাদালকে চিন্তায় রাখছে চোট। ২০১৯ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল মরশুমের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামতে পারবেন কিনা তা জানতে আরও কিছুদিনের অপেক্ষা।