অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু
করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল দেশে। সেকেন্ড ওয়েভে যেন মড়ক লেগেছিল। লাফিলে লাফিয়ে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিেয় বাড়তে থাকে। করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছিল এপ্রিল-মে মাসে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাসপাতালগুলির। কোনও বেড ফাঁকা ছিল না। প্রায় বিনা িচকিৎসায় একধিক রোগী মারা গিয়েছিলেন। অক্সিজেন সংকট দেেশ চরম আকার নিয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। দিল্লির একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমনকী মহারাষ্ট্রেও দেখা দিয়েছিল সেই সংকট। অক্সিজেনের আকার চরমে উঠেছিল সেসময় দেশে।
মৃত্যুর দাবি অন্ধ্রের
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটনা প্রকাশ্যে আনল আরও এক রাজ্য। পাঞ্জাবের পর এবার অন্ধ্র প্রদেশ জানিয়েছে অক্সিজেনের অভাবে তাদের রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ অগস্ট লিখিত ভাবে কেন্দ্রকে অন্ধ্র সরকার জানিয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ চলাকালীন রাজ্যে ভেন্টিলেশনে থাকা একাধিক রোগীর মত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। এর আগে পাঞ্জাব জানিয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে রাজ্যের মৃত্যুর ঘটনা। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল মোট ১৩টি রাজ্য অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের চিঠির জবাব দিয়েছে। তারমধ্যে ছিল অরুণাচল প্রদেশ, অসম, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাব। গতকাল সংসদে দাবি করা হয় একটি মাত্র রাজ্য অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে। তার পরেই অন্ধ্রের তথ্যএ প্রকাশ্যে এসেছে।
মৃত্যু মানতে নারাজ কেন্দ্র
সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে একটি মৃত্যুও ঘটেনি দেশে। সংসদে এমনই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তারপরেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছিল। মোদী সরকার দেশবাসীকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা কংগ্রেস নেত্রী। ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। অন্ধকারে রাখা হচ্ছে গোটা দেশকে। এই নিয়ে সত্য উদ্ঘাটনে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার কথা বলেছিলেন তিনি।
তৎপর কেন্দ্র
বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তৎপর হয় েকন্দ্র। রাজ্য গুলির কাছে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খতিয়ান চেয়ে পাঠায় তারা। চাপে পড়েই এক প্রকার মোদী সরকার রাজ্য গুলির কাছ থেকে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে তথ্য তলব করে। তার প্রেিক্ষতেই ১৩টি রাজ্য জবাব গিয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তাতেই সংসদে জানানো হয়েছিল এখনও পর্যন্ত একটি রাজ্যই করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে। তারপরের দিনই আবার অন্ধ্র প্রদেশ জানায় আরও মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে।
চিকেনপক্সের মতো সংক্রামক ডেল্টা, ভারত-চিন-আমেরিকা-ফ্রান্সে বাড়াচ্ছে সংক্রমণ