অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হাসপাতালে ক্রিস কেয়ার্নসের হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অল রাউন্ডারকে আপাতত ওই হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। প্রাক্তন ক্রিকেটারের শারীরিক পরিস্থিতি আগের থেকে ভাল বলে জানিয়েছেন কেয়ার্নসের স্ত্রী মেলানি।
কাজের সূত্রে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার। গত সপ্তাহে তিনি বাড়িতেই আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং জ্ঞান হারান বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। ক্রিসকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে প্রাক্তন ক্রিকেটারের হৃদযন্ত্রে একবার অস্ত্রোপচারের পরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, ক্রিসকে সিডনির সেন্ট ভিনসেন্টস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
সিডনির হাসপাতালে মঙ্গলবারই ক্রিস কেয়ার্নসের হৃদযন্ত্রে কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি করা হয়েছে এবং তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটারের শারীরিক পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল বলেও জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আওরটিক ডিসসেকশনে ভুগছিলেন কেয়ার্নস। আপাতত তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। ক্রিস কেয়ার্নসের দ্রুত সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করেছে বিশ্বের ক্রিকেট মহল। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯৮৯ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে অভিষেক হয়েছিল ক্রিস কেয়ার্নস। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি নিজের জাতীয় দলের হয়ে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ক্রিস এই ফর্ম্যাটে ৩৩২০ রান করেছেন। লাল বলের ক্রিকেটে পাঁচটি শতরান হাঁকানো কেয়ার্নসের সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৮। টেস্টে ২১৮টি উইকেটও রয়েছে কিউয়ি অল রাউন্ডারের। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২১৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ৪৯৫০ রান করেছেন ৫১ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের হয়ে ২০১টি উইকেটও নিয়েছেন ক্রিস। দেশের হয়ে ২টি টি২০ ম্যাচ খেলা প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটার মোট ৩ রান করার পাশাপাশি একটি উইকেট নিয়েছেন। কেয়ার্নসের বাবা ল্যান্স কেয়ার্নসও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিত্ব করেছিলেন।
রেকর্ড এবং পারফরম্যান্সর নিরিখে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার হিসেবে গণ্য হওয়া ক্রিস কেয়ার্নসকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। ২০০৮ সালের পর হারিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটারের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছিলেন কেয়ার্নস। তা করতে গিয়ে তাঁকে অর্থাভাবেও ভূুগতে হয়।