অবশেষে মিলল সাফল্য
সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের বছর একচল্লিশের ওই ব্যক্তির যখন ১৪ বছর বয়স ছিল সেই সময় তাঁর দু'টি কিডনিই খারাপ হয়ে যায়। এরপর ৩ বার তাঁর রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি হয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে একাধিক শারীরিক সমস্যায় তাঁর ২টি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল। অপারেশন টেবিলে উঠলেও এর আগে আবার ২ বার ব্যর্থও হয়েছে অস্ত্রোপচার। তাই ভয় ছিলই। কিন্তু এবার চিকিৎসক এস এস সারাবনন এই তৃতীয়বারের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রচেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অবশেষে মিলল সাফল্য।
আসল সমস্যার সূত্রপাত কোথায়
এদিকে ১৯৯৪ সালে প্রথম ওই ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ৯ বছরের মধ্যে সেই কিডনিও বিকল হয়ে যাওয়াতেই বাড়ে সমস্যা। আর তারফলেই ২০০৫ সালে ফের তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। গত ১২ বছর ধরে সেই কিডনি নিয়েই বেঁছে ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে ফের বাড়তে থাকে সমস্যা। বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলে তাঁরা পুনরায় কিডনি প্রতিস্থাপনেরই পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে সফল কতটা হওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল সকলেরই। এমনকী এই ধরণের অস্ত্রপচার দেশের মধ্যেও কার্যত বিরল।
দেখা দেয় জায়গার অভাব
এদিকে শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকায় কিছুদিন আগেই ওই ব্যক্তির ডায়ালিসিসও শুরু হয়। এদিকে রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করে প্রথমে তাঁর ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের অপারেশনে আগের ২টি কিডনি বার করা সম্ভব হয়নি। উচ্চ রক্তচাপ সেই সঙ্গে, অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণের কারণেই বাঁধে বিপত্তি। এদিকে সাধারণ ভাবে প্রতিস্থাপনের সময়, দাতার কিডনি সাধারণত গ্রহীতার দেহের অভ্যন্তরস্থ কিডনির পাশে রাখা হয়। কিন্তু এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে নতুন কিডনি রাখা জায়াগর অভাব দেখা দেয়।
অসাধ্য সাধন মাদ্রাজ মিশন হাসপাতালের
এমনকী এই পরিস্থিতির কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা প্রথমে ভেবেই কূল পাননি চিকিৎসকেরা। এদিকে কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তির করোনারি আর্টারি রোগ ধরা পড়ার পর ট্রিপল বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল তার। ফলে অস্ত্রোপচারের সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হয় চিকিৎসকদের। অবশেষে মাদ্রাজ মিশন হাসপাতালের ভাসকুলার অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট সার্জনের অসাধ্য সাধনের জেরেই প্রাণ ফিরে পান ওই ব্যক্তি।