পাস হয়ে গেল ওবিসি বিল ২০২১
বাদল অধিবেশনে পাস হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলির মধ্যে অন্যতম ওবিসি বিল ২০২১। মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষেই সরকার এবং বিরোধী উভয় পক্ষের সম্মতিতেই পাস হয়ে যায় বিলটি। বিরোধী পক্ষও এই বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছেন। মোট ৩৮৫ জন সদস্যের সমর্থনে বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি অ্যামেন্ডমেন্টে বা সংশোধনে বিরোধীরা আপত্তি জানিয়েছে ঠিকই তবে সামগ্রিক ভাবে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। এই বিল পাসের ফলে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে অনেক সুবিধা পাবে রাজনৈতিক দলগুলি।
কি সুবিধা রয়েছে এই বিল
এই বিলে এত সমর্থনের অন্যতম কারণ রাজ্যগুলিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে নিজেদের মতো করে ওবিসি তালিকা তৈরি করার জন্য। রাজ্য সরকার নিজেদের মত করে ওবিসি তালিকা তৈরি করতে পারবে। অর্থাৎ কোন রাজ্য কোন কোন সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকা ভুক্ত করবে তার সম্পূর্ণ রাজ্যগুলির সিদ্ধান্ত হবে। এতে সুবিধা পাবে রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে বিধানসভা ভোটের আগে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট বাক্স ভরাতে পারবে তারা। প্রতি বিধানসভা ভোটেই সংরক্ষণের একটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি।এই বিল পাস হওয়ার ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি নিজেেদর সুবিধা মত কাজে লাগাতে পারবে এই সংরক্ষণ ইস্যু ।
সামনেই উত্তর প্রদেেশর ভোট
সামনেই রয়েছে উত্তর প্রদেশের বড় নির্বাচন। এই বিলকে বিজেপি যে সেখানে ভাল মত ব্যবহার করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ ইতিমধ্যেই রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে উত্তর প্রদেশে ব্রাহ্মণদের ভোট হারাতে চলেছে বিেজপি। কারণ যোগী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তর প্রদেশের বড় অংশে ব্রাহ্মণদের হত্যা বেড়েছে।একাধিক জায়গায় ব্রাহ্মণরা খুন হয়েছে। সেকারণে উত্তর প্রদেশে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় একটু বেশি রুষ্ট বিজেপির উপর। তারা চাইছে কোনও অবিজেপি দল। সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টি ক্ষমতায় আসুক। ইতিমধ্যেই সুযোগ বুঝে ব্রাহ্মণদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছেন অখিলেশরা। সমাজের উচ্চ শ্রেণির জন্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল লখনউয়ে।
সংরক্ষণ টোপ
সব রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে সংরক্ষণ চোপ দিয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। বঙ্গের ভোটেও সেটা করেছিল বিজেিপ, মাহিষ্য-তেলিদের সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেই টোপ কাজে দেয়নি। তবে শধু বঙ্গ নয় এরপর পাঞ্জাবেও ভোট রয়েছে। ভোট রয়েছে ত্রিপুরাতেও। সামনেই এগিয়ে আসছে ২০২৪-র লোকসভা িনর্বাচন। সব দিক বিবেচনা করেই মোদী সরকার তড়িঘড়ি বিলটি পাস করিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।