দেশের প্রায় ৪৪% সক্রিয় আক্রান্ত কেরলের
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৮টি রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ থেকে এক লক্ষের মধ্যে। শুধুমাত্র কেরলেই সক্রিয় আক্রান্ত ১ লক্ষ পেরিয়েছে! তথ্য বলছে, দেশের মোট সক্রিয় আক্রান্তের ৪৩.৭৭% কেরলের, ১৮.৪৮% মহারাষ্ট্রের, কর্ণাটকে ৬.০১% ও তামিলনাড়ুতে ৫.২৬%। সক্রিয় আক্রান্তের ৫.০৩% রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশে।
কোন কোন জেলায় নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ?
পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে কোভিডের গ্রাফ পুনরায় বাড়ছে। তামিলনাড়ুর ৭ জেলা, হিমাচল প্রদেশের ৬ জেলা, কর্ণাটকের ৫ জেলায় বাড়ছে সংক্রমণ। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মোট ৪ জেলা এবং মেঘালয়-মিজোরামের মোট দুই জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাবে, তালিকায় রয়েছে বাংলার দুই জেলা। এমতাবস্থায় করোনার ভয়াবহ রূপ ফিরে আসার আগেই যে টিকাকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন, তা সাফ জানাচ্ছে গবেষকমহল।
বাংলার দুই জেলায় কোভিড বিস্ফোরণ!
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, কেরলের মালাপ্পুরাম, এরনাকুলাম, থ্রিসুর, কোঝিকোরে, পালাক্কার, কোল্লাম,কান্নুর,কাসারগোর, ওয়ানার, পাঠানামথিত্তা ও ইরুক্কি জেলায় বাড়ছে সংক্রমণ। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও পূর্ব গোদাবরী জেলার ন্যায় মিজোরামের সাইহা জেলায় ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকেও বাড়ছে আক্রান্ত। পাশাপাশি বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগণা ও নদীয়ায় গতি বাড়াচ্ছে মারণব্যাধি।
১৪৭ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক আক্রান্ত
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের বিবৃতি অনুসারে, সোমবার নতুন করে ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮,২০৪ জন, যা ১৪৭ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। ভারতে বর্তমান সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮৮,৫০৮ জন। এহেন ভয়াবহতার মধ্যেও আশার কথা এই যে, এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ৫১.৪৫ কোটি ভারতবাসী। যদিও টিকাকরণের এই গতিতে যে চিঁড়ে ভিজবে না, তা সাফ জানিয়েছেন মহামারী বিশেষজ্ঞরা।