২০১৮-১৯-এর মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্বীকৃতি
দেশের জেলা হাসপাতালগুলির কাজ নিয়ে প্রতি বছরেই সমীক্ষা করা হয়। সেইরকমই এক সমীক্ষায় ২০১৮-১৯ সালের নিরিখে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালকে সেরা জেলা হাসপাতালের স্বীকৃতি গিয়েছেন নীতি আয়োগ। সোমবার এব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নীতি আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে ৩০০-র বেশি বেড রয়েছে, এমন হাসপাতালগুলির মধ্যে থেকে এমআর বাঙ্গুর সেরা হয়েছে।
করোনা চিকিৎসাতেও প্রথমসারিতে
করোনা চিকিৎসায় রাজ্যের প্রথমসারির হাসপাতালগুলির মধ্যে সামনের দিকে রয়েছে এই সরকারি হাসপাতাল। কলকাতা এবং আশপাশের এলাকা বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার করোনা আক্রান্তদের এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৭১৩টি বেড রয়েছে এই হাসপাতালে। যার বেশিরভাগই এখন করোনা আক্রান্তদের জন্য সংরক্ষিত। হাসপাতালের জন্য তৈরি করা নতুন ভবনেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও, বাঙ্গুর হাসপাতালের ক্ষেত্রে সেরকমটা শোনা যায়নি। তবে এই স্বীকৃতি করোনা চিকিৎসার জন্য নয় বলেই জানা গিয়েছে।
প্রশাসনিকভাবে এই হাসপাতালটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত। আগে এই হাসপাতালে বিরুদ্ধে নানা অভিষোগ উঠত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে হাসপাতালের মূল ভবনের প্রায় পাশেই থাকা ফাঁকা জায়গায় বহুতল ভবন তৈরি হয়। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই সেই নতুন ভবনেই করোনার চিকিৎসা শুরু করা হয়।
হাসপাতাল সুপারের প্রতিক্রিয়া
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় হাসপাতাল সুপার শিশির নস্কর জানিয়েছেন, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী, সবার চেষ্টার ফলেই এই স্বীকৃতি। তিনি জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের স্বীকৃতির কথা জানার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ছাড়াও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনেক ডিরেক্টর এবং ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস ফোন করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশংসা পেয়েছিল বেলেঘাটা আইডি
এমআর বাঙ্গুরের আগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল। গতবছর করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো দেখতে কলকাতায় এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। সেই সময় তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বেলেঘাটা আইডির পরিষেবার মানে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন তাঁরা।