সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে কর্মসূচি
এদিন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে ধরনার কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া ছাত্র-যুবদের ওপরে হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূস। তাদের অভিযোগ ত্রিপুরায় যা হচ্ছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। এদিন তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীল মণ্ডলকেও।
ত্রিপুরায় গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ
এদিন ধরনার সময় লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গায়ের জোরে সব কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে তৃণমূলের নেতাদের বেরোতে বাধা দিয়ে পরে তাঁদের গ্রেফতার করে মহামারী আইন দেওয়া হয়। আদালত থেকে মুক্ত হওয়ার পরেও তাঁদের ওপরে ফের মামলা পাপিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ।
রবিবার তোপ দেগেছিলেন অভিষেক
তৃণমূলের অভিযোগ শনিবার আমবাসায় দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তদের ওপরে হামলা চালায় বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাতে তাঁদের থানা থেকে সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ভোরে তাঁদেরকে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সকালেই সেখানে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ত্রিপুরায় যান ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, দোলা সেন। বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ ত্রিপুরায় নৈরাজ্য, অরাজকতা, অনাচার চলছে। বিজেপি রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে রাজ্যকে ১০০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ত্রিপুরা বিপ্লব দেবের বাবার জমিদারি নয়। তৃণমূল রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তুলে ফেলে দেবে বলেও চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন অভিষেক।
ত্রিপুরা নিয়ে পাল্টা বিজেপি
অন্যদিকে ত্রিপুরা নিয়ে বিজেপির তরফে পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, কিছু দল যারা ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা উন্নয়নের নিরিখে অধিকাংশই ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি নয়, বরং রাজ্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরা আজ গোটা দেশে নজির তৈরি করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অপর একটি টুইটে বিপ্লব দেব বলেছেন ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সচেতন নাগরিকরা, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে বিশ্বাস রেখে ত্রিপুরায় বর্তমান বিকাশমুখী সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এই বিকাশের ধারাকে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্র করে রোখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।