অধিবেশনের আগে বিরোধী সাংসদদের বৈঠক
এদিন অধিবেশ শুরুর আদে বিরোধী সাংসদদের বৈঠক হয়। বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত এর আগেও বিরোধীরা বৈঠক করেছিলেন। তবে দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধী ১৪ টি দলকে নিয়ে বৈঠক করার পরেই বিরোধী ঐক্য জোরদার হয়।
বৈঠকে সংবিধান সংশোধনী বিল সমর্থনের সিদ্ধান্ত
এদিন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন অনগ্রসর শ্রেণি চিহ্নিত করতে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা ফেরাতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে কেন্দ্রকে সহযোগিতা করবে বিরোধীরা। এদিনই লোকসভায় এই বিল পেশ করার কথা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন বিরোধী দলগুলির বৈঠকে দুটি দল টানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতি ছিল। তবে অন্যরা স্পর্শকাতর ইস্যু হওয়ায় সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছে। এই বিলের গুরুত্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খারগে। সিপিএম সদস্য সই করিম জানিয়েছেন, এই বিল পাশ করাতে দিলেও, অন্য সব ইস্যুতে তাঁদের বিক্ষোভ চলতেই থাকবে।
সূক্ষ্ম চাল কেন্দ্রের
এব্যাপারে সূক্ষ্ম চালটি চেলেছে অবশ্যই কেন্দ্র। অনগ্রসর শ্রেণি চিহ্নিত করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতে তুলে দিতে সংবিধান সংশোধনী বিল এনে বিরোধী শিবিরকে পাল্টা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় মোদী সরকার। কেননা ওবিসি স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়া কোনও বিরোধীদলের পক্ষেই সম্ভব ছিল না। পাশাপাশি বিজেপির সরকারের নিজেদেরও দায় ছিল। কেননা উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে অনগ্রসর শ্রেণিকে বার্তা দেওয়ার কথাই ভেবেছে বিজেপি। উল্লেখ্য উত্তর প্রদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি ওবিসি।
মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিভ্রান্তি
প্রসঙ্গত মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এবছরের মে-মাসেই সুপ্রিম কোর্ট যা নিয়ে রায় দিয়েছিল। সংবিধানের ১২৭ তম সংশোধনী বিলের মাধ্যমে সেই বিভ্রান্তি দূর করে ওবিসি তালিকা তৈরির ক্ষমতা ফের রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও কার্যত ওবিসি ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।