নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি
প্রায় দুই বছর পর টেস্টের প্রথম একাদশে ঠাঁই হয়েছে লোকেশ রাহুলের। প্রথম ইনিংসে শতরানও পেতে পারতেন। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৮৪ ও ২৬ রান করেছেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আপাতত কয়েকটি টেস্ট ম্যাচের জন্য রাহুল নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন। দলের জন্য কিছুটা অবদান রাখতে পেরে খুশি রাহুল নিজেও। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের পঞ্চম দিন বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়ে টেস্ট ড্রয়ের পর রাহুল বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজেও দলের বাইরে ছিলাম। দল ভালো করছিল, সেই দলের একজন সদস্য হয়ে থাকতে পেরে ভালোই লাগছিল। দেশে ও দেশের বাইরে টেস্ট জয়ের সাক্ষীও থাকি। কিন্তু ড্রেসিংরুমে বসে তারই মধ্যে সুযোগের অপেক্ষাতেও ছিলাম। অনুশীলনে তাই খামতি রাখিনি, জানতাম দলে জায়গা পেতে এটাই মূল বিষয়। তাই চ্যালেঞ্জটা ছিল নিজের সঙ্গেও। ইংল্যান্ডে সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। এই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখতে চাই। দলের জন্য প্রথম ম্যাচে কিছু অবদান রাখতে পেরে ভালোই লাগছে।
|
জসপ্রীতের পাশে
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে একটিও উইকেট পাননি জসপ্রীত বুমরাহ। সমালোচিতও হচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন এই ভারতীয় পেসার। ব্যাট হাতেও ভারতের লিড বাড়াতে সাহায্য করেছেন। ফলে অনেকে বলছেন নটিংহ্যামে বুমরাহ-র কামব্যাক হল। যদিও এই কথাতেই আপত্তি রাহুলের। তিনি বলেন, প্রত্যেক সময় প্রতিটি ম্যাচে যে কোনও পরিস্থিতিতে বুমরাহ নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনিই আমাদের দলের এক নম্বর বোলার। টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরুর সময় থেকে তিনি যেভাবে খেলছেন তাতে আমরা সকলেই খুশি। যেখানেই তিনি খেলেছেন, সেখানেই ম্যাচ উইনার হিসেবেই অবতীর্ণ হয়েছেন। আরও একবার তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে যে পারফরম্যান্স উপহার দিলেন তা সত্যিই দারুণ।
বোলারদের প্রশংসা
ভারতীয় বোলাররা যেভাবে পারফর্ম করছেন তাতে বিপক্ষ দল টস জিতেও স্বস্তিতে থাকবে না বলেই মনে করেন রাহুল। তাঁর কথায়, যেভাবে টস হেরে বোলিং করতে বাধ্য হয়েও আমাদের বোলাররা যে নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা দেখিয়েছেন তা অবশ্যই অন্যতম প্রাপ্তি। এতে টস জেতার সুবিধা আদায় করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। শামি ও বুমরাহ ভালো শুরু করেছেন এবং তারপর একইরকম নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে বোলিং করেছেন শার্দুল ও সিরাজ, সকলেই সঠিক জায়গায় টানা বল রেখে গিয়েছেন। বেশ কিছু আউটের সুযোগ তৈরিও হয়। কিন্তু সেগুলিতে উইকেট না এলেও যেভাবে বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনামাফিক বোলিং করে গিয়েছেন তা দেখার মতো এবং এর পুরস্কারও পেয়েছেন বোলাররা।
পরিকল্পনার সফল প্রয়োগ
পেসারদের প্রশংসা করে রাহুল আরও বলেন, আমাদের দলের বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ। সকলেই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বোলারদের জন্যই আমরা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিলাম। ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখেই সকলে খেলেন, যে পরিকল্পনা করে আমরা মাঠে নামি ঠিক সেইমতোই বোলিং করেন আমাদের পেসাররা। মাঠে সকলের ফোকাস ও এনার্জি দারুণ ছিল চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনেও। গত দেড় মাসে আমরা যেভাবে এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি তার সুফল মিলতে শুরু করেছে। আশা করি, সিরিজ যত এগোবে তত আমাদের পারফরম্যান্সও উন্নত হবে।