বাংলাকে পথিকৃত করে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য সারা দেশে এক আইন চালুর দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা আইন করেছি, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। আদিবাসীদের জমি আদিবাসীদেরই থাকবে। এই আইন সারা দেশে চালু হওয়া দরকার। তাহলে সারা দেশের আদিবাসীরা নিশ্চয়তা বোধ করবে।
সোমবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে আদিবাসীদের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর হয়েছে। আমাদের সরকার আসার পর ২০১৩ সালে আমরা আদিবাসীদের জন্য পৃথক দফতর করেছি। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আমাদের সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা সরকারে এসেই ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা করেছি। ঝাড়গ্রামে ৯৫ শতাংশ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, ঝাড়গ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কলেজ-স্কুল হচ্ছে। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা- সর্বদিকেই আমাদের সরকারের লক্ষ্য রয়েছে।
মমতা বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, ঝাড়গ্রামে চারটি নতুন কলেজ হচ্ছে। সাধুরাম চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। অলচিকি ভাষায় পড়ানোর জন্য ৫০০ স্কুলও তৈরি হচ্ছে। আমরা মাওহানায় মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিয়েছি। ঝাড়গ্রাম স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রামের মানুষের পাশে রয়েছে আমাদের তৃণমূলের সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আমমাদের সরকারকে মানুষের দুয়ারে নিয়ে গিয়েছি। আমরা ঠিক করেছি, বছরে দু-বার করে দুয়ারে সরকার হবে। তিন কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারে পরিষেবা পেয়েছে। আমরা প্রায় সমস্ত আবেদকারীকেই পরিষেবা দিতে পেরেছি। আমরা কথা দিলে কথা রাখি। যে কথা দিয়ে আমরা সরকারে এসেছিলাম তিন মাসের মধ্যে আমরা তার অধিকাংশ রূপায়ণ করেছি।
তৃণমূলের তৃতীয়বারের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতি পরিবার ভাতা পাবেন সেপ্টেম্বর থেকে। ১৬ অগাস্ট থেকে দুয়ারে সরকার বসছে। দুয়ারে সরকারে মহিলারা আবেদন করুন। এছাড়া দুয়ারে রেশন প্রকল্পও চালু করা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে ভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে তাঁকেও কোমর দোলাতে দেখা যায়। তারপর তিনি ধামসা-মাদলও বাজান এদিন। হাতে তুলে নেন খঞ্জনিও। এমনকী আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকও তিনি গায়ে চড়ান।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!