স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় হামলার ছক (terror bid) বানচাল করে দিল নিরাপত্তা বাহিনী। পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেনেড এবং টিফিন বম্বও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, টিফিন বক্সের মধ্যে রাখা ছিল আইইডি (ied)। যে গ্রাম থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ডালিক গ্রামটি ভার-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সীমান্ত পার থেকে আনা হয়েছিল ড্রোনের মাধ্যমে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা ড্রোনের আওয়াজ শুনেছিলেন রবিবার বিকেলে। যার পরেই তাঁরা সতর্ক হয়ে যান এবং বিষয়টি পুলিশের কাছে জানান।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে প্যাকেট পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড, প্রায় ১০০-র মতো নয় এমএম পিস্তলের গুলি, টিফিন বম্ব এবং তিনটি ডিটোনেটর। যে আইইটি পাওয়া গিয়েছে, তা তৈরি করতে ২ কেজির মতো আরডিএক্স লেগেছে।
সাংবাদিকদের তথ্য দিতে গিয়ে পঞ্জাবের ডিজিপি দিনকর গুপ্তা বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ১৫ অগাস্টে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা নিয়েছিল। তিনি জানিয়েছে, বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধারের পরে এনএসজি টিমকে ডাকা হয়েছে। তারাই এখন বিষয়টি দেখছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে আইইডি-তে ২-৩ কেজি আরডিএক্স রয়েছে। এই বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধারের জেরে পঞ্জাব জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে তল্লাশিও বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, এপাড়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে সীমান্ত পাড় থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গি হামলা চালায়।
তবে পঞ্জাবের ডিজিপি কোনও জঙ্গি সংগঠনকে এব্যাপারে দায়ী করেননি। তবে তিনি বলেছেন, কে কী করছে সবই নজর রাখছে পুলিশ। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা আশপাশে সফরের সময় কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশে খবর দেন।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানীকে সুরক্ষা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে লালকেল্লায় ঢোকার রাস্তায় রোহার বাক্সের দেওয়াল দেওয়া হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় ঢুকে পড়েছিলেন কৃষকরা। এবার কৃষকদের সঙ্গে মিশে থেকে কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। সেই কারণে বড় বড় লোহার বাক্স বসানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লিবাসীকে সতর্ক করতে ছয়জঙ্গির ছবি বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বলা হয়েছে, সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে। ১৫ অগাস্টের দিকে লক্ষ্য রেখেই দিল্লিতে অ্যান্টি ড্রোন অপারেটিং সিস্টেমও বসানো হচ্ছে। যার জেরে নয়াদিল্লির আকাশে ড্রোন উড়ানো বন্ধ করা যাবে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!